মা মনে হয় বাঁচবেন না
‘আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। বিস্ফোরণে আমাদের পরিবারের ৬ জনই দগ্ধ হয়েছি। মা আইসিইউতে ভর্তি আছেন। মনে হয় বাঁচবেন না। আমার দুধের বাচ্চাটা শুধু শ্বাস নিচ্ছে।’
কেঁদে কেঁদে কথাগুলো বলছিলেন, নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মিম আক্তার। মিম বলেন, ‘কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে সেটা জানি না। আগুনে পোড়ার যে কী যন্ত্রণা, বলে বোঝানো যাবে না। মা আইসিইউতে ভর্তি। আমার দেড় মাসের শিশুসহ বাকিরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছি।’
বিজ্ঞাপন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তিনতলা একটি বাড়িতে গ্যাস বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
ভর্তি হওয়া রোগীরা হলেন- আলেয়া বেগম (মা), হাবিব (বাবা), মিম আক্তার (মেয়ে), লিমন (ছেলে), সামেত্ব (নানি) এবং দেড় মাসের শিশু মাহির। এদের মধ্যে ৯৫ ভাগ দগ্ধ আলেয়া বেগমকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের মধ্যে হাবিবের ২২ ভাগ, লিমনের ৪ ভাগ, মিমের ৫ ভাগ, সামেত্বের ১৩ ভাগ ও মাহিরের ১২ ভাগ দগ্ধ হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তন্ময় প্রকাশ ঘোষ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় সাতজন এসেছিলেন। এদের মধ্যে আলেয়া আইসিইউতে ভর্তি আছেন। সাথী নামে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি পাঁচজন জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে ফতুল্লার তল্লা এলাকার মডেল গার্মেন্টসের দক্ষিণ পাশে স্থানীয় মফিজুল ইসলামের তিনতলা বাড়ির তৃতীয় তলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারী ও শিশুসহ মোট ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। বিস্ফোরণে দগ্ধ হওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন- সাথী, সোনাহার, শান্তি, সামিউল, মনোয়ারা ও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি।
এসএএ/এমএইচএস/জেএস