বাংলাদেশে আগত প্রবাসীদের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সময়সীমা কমিয়ে ৩ দিন করার ঘোষণা দিয়ে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে এ বিষয়ে একটু সার্কুলার জারি করা হয়। সার্কুলারটি আজ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলা জানানো হয়েছে। 

সার্কুলারে বলা হয়েছে, যারা করোনার দুই ডোজ ভ্যাক্সিন নিয়েছেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার বাধ্যবাধকতা নেই।

বেবিচক জানায়,  প্রবাসীদের মধ্যে যেসব যাত্রী করোনার দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া থাকবে এবং করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকবে, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না। তারা বাড়িতে গিয়ে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। স্থানীয় প্রশাসন তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

তবে যেসব যাত্রী ভ্যাকসিনের একটি ডোজ নিয়েছেন অথবা নেননি এবং করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে দেশে আসবেন, তাদেরই কেবল তিন দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। তিন দিন পর তাদের করোনা টেস্ট করানো হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে বাকি ১১ দিন তাদের বাড়িতে গিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

এছাড়াও সরকারি ব্যবস্থায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার লিমিট শেষ হয়ে গেলে প্রবাসীদের নিজ খরচে হোটেলে থাকতে হবে।

গত ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের হোটেলে নিজ খরচে ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। সেটিই এখন কমিয়ে তিন দিন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রতিনিধি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সরকার ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে। বিদেশ থেকে আগতরা হোটেল বুকিং দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও দেশে পা ফেলার পর হোটেলে রুমের বেশি ভাড়ার অজুহাতে সেখানে থাকতে চান না। পরে তাদের সরকার নির্ধারিত হজ ক্যাম্প ও দিয়াবাড়িতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে প্রবাসীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় কোয়ারেন্টাইন কমিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’

এআর/এসএম