রাজধানীর আরমানিটোলা এলাকায় হাজী মুসা ম্যানশনে আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাফায়েত হোসেন মারা গেছেন। একই হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সাফায়েতের মা লায়লা বেগম।

ছেলের মৃত্যুর খবর শোনে আর হাসপাতালে থাকতে চাননি। চিকিৎসকদের বলে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। এদিকে আগুনের ঘটনায় আহত সাফায়েতের বাবা দেলোয়ার হোসেন, ভাই শাকির হোসেন, স্ত্রী মিলি আক্তার ও দুই বছরের মেয়ে ইয়াশফাও হাসপাতালে থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন।

রোববার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয় বলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে সাফায়াতের ভাই শাকির হোসেন বলেন, আজ সকালে ভাই মারা গেছেন। তার মৃত্যুর খবর শোনার পর মা আর হাসপাতালে থাকতে চাননি। যদিও মায়ের শরীরের দুর্বলতা এখনো রয়েছে। এছাড়া আমরা সবাই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছি। আমরা ছাড়া ভাইকে দাফন করার কোনো লোক নেই। সব প্রক্রিয়া শেষে ভাইয়ের মরদেহ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নিয়ে যাব।

পাঁচজনকে ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়ে ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল বলেন, আরমানিটোলার আগুনের ঘটনায় বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে আছে চারজন। এইচডিইউতে আছে একজন। পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে আছে ৯ জন।

এর আগে রোববার সকালে সাফায়েত হোসেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। চিকিৎসকরা জানায়, আগুনে তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আরমানিটোলার হাজী মুসা ম্যানশনে ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এমএসি/এআর/ওএফ