আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই লাইনে জমে থাকা কঠিন বর্জ্য অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

রোববার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মহানগর আর্মি ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত হাতিরঝিলের উভয়পাশে স্থাপিত ১ হাজার ৮৩০ মিলিমিটার ব্যাসের এসএসডিএস লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ ও হাতিরঝিল সংলগ্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারণের জন্য আলোচনা সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। ডিএনসিসি মেয়রের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ডিএনসিসি নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, খালের মতো হাতিরঝিলের পুরো দায়িত্ব‌‌ ডিএনসিসিকে বুঝিয়ে দিলে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণসহ এর সৌন্দর্য বর্ধনে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আতিকুল ইসলাম জানান, মগবাজার মধুবাগ, নয়াটোলা, মহানগর আবাসিক এলাকা, নিকেতন, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, নাখালপাড়া, কাওরান বাজার, ধানমন্ডি-২৭, গ্রিন রোড, কা‌‌ঠালবাগান এলাকায় বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি ও গৃহস্থালি বর্জ্য পানি হাতিরঝিলের উভয় পার্শ্বে বিদ্যমান ১ হাজার ৮৩০ মিলিমিটার এসএসডিএস লাইনে নিষ্কাশিত হয়।

রাজউকের বর্তমান ব্যবস্থাপনায় হাতিরঝিল লেকে কঠিন বর্জ্য ঢুকতে না পারলেও তরল বর্জ্য প্রবেশের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, হাতিরঝিলকে রক্ষা করতে হলে কঠিন কিংবা তরল কোনো ধরনের বর্জ্যই যাতে এই লেকে না আসে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা পাম্পগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হাতিরঝিল ও সংলগ্ন এলাকায় উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে রাজউকের নিকট ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বকেয়া পড়ে থাকার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। রাজউকের পক্ষ থেকে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ৯৫ লাখ টাকা ছাড় করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা ও রাজউকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/ওএফ