চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারা এলাকায় এসআলম গ্রুপের নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষে সাত শ্রমিক নিহতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রোববার (২৫ এপ্রিল)  চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঘটনার দিন নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানান তিনি।

বাঁশখালীর ঘটনায় সরকারের নির্লিপ্ততায় দুঃখ পেয়েছেন জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, বাঁশখালীতে কারা গুলি করেছে তা বের করার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে বাঁশখালীর ঘটনার প্রকৃত চিত্র পাইনি। তবে এটা নিশ্চিত পুলিশের সঙ্গে হেলমেট বাহিনী ছিল। দেশ স্বাধীন হওয়া পর এভাবে দেশের মানুষকে জীবন দিতে হয় এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না।

এসময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের গুলিতে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তার সঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

জাফরুল্লাহ বাঁশখালীতে পৌঁছে প্রথমে গন্ডামারা এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের ফটকের সামনে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের চিফ কো–অর্ডিনেটর ফারুক আহমেদ, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবিরসহ দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলেন।  পরে সংঘর্ষে নিহত মাহমুদ রেজা মিয়াখানের বাড়িতে যান তারা। সেখানে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।  

গত ১৭ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারা এলাকায় এসআলম গ্রুপের নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই শ্রমিক মারা যান। এ নিয়ে মোট সাত শ্রমিক নিহত হলেন। এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১০ জন।

কেএম/ওএফ