সুস্বাগত ২০২১!
নতুন বছরে নতুন ভোর
‘সময় ও স্রোত অপেক্ষা করে না’। দেখতে দেখতে কেটে গেল পুরো বছর। ৩১ ডিসেম্বর তারিখটি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাকালের গর্ভে বিলীন হলো ২০২০ সাল। শুরু হলো নতুন বছর। স্বাগত ইংরেজি নববর্ষ ২০২১!
নতুন বছরের শুরুতে বিশ্ব তাকিয়ে আছে মহামারি করোনাভাইরাসের টিকার দিকে। ভাইরাসের ভয়ে কাটানো দিনের অবসান হবে। বিশ্বে আসবে নতুন গতি, আসবে সমৃদ্ধি- এমনই প্রত্যাশা।
বিজ্ঞাপন
অর্জন-বিসর্জন, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির পুরাতন খাতা বন্ধ করে খোলা হলো নতুন দিনলিপি। এটিই জগতের নিয়ম, জীবনের নিয়ম। সাফল্য-ব্যর্থতার হিসেব পেছনে ফেলে নতুন করে পথ চলা, নতুন স্বপ্ন ও লক্ষ্যের দিকে হেঁটে যাওয়া শুরু আজ থেকে।
২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উৎসব পালন করবে বাংলাদেশ। এ বছর আমাদের প্রত্যাশা- অপরাজনীতি, অপশক্তি, দুর্নীতি, জঙ্গীবাদ, ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা ও সকল আধার কালো মুছে গিয়ে বাংলাদেশ পরিণত হবে এক সত্যিকার সোনার বাংলায়।
বিজ্ঞাপন
২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উৎসব পালন করবে বাংলাদেশ। এ বছর দেশের বুকে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধির স্নিগ্ধ বাতাসে বইবে এই কামনা সকলেরই। নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা- অপরাজনীতি, অপশক্তি, দুর্নীতি, জঙ্গীবাদ, ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা ও সকল আধার কালো মুছে গিয়ে বাংলাদেশ পরিণত হবে এক সত্যিকার সোনার বাংলায়। যে বাংলাকে ভালোবেসে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাব।
দেশের শান্তি-সমৃদ্ধির জন্য আইনের শাসনের ভিত আরও মজবুত হোক। দেশের উন্নতিতে সম্মিলিত প্রয়াস আরও বিস্তৃত হোক। বাড়ুক মানুষের গড় আয়ু। নিরক্ষরতার অন্ধকার একেবারে ঘুচে গিয়ে শিক্ষা-দীক্ষার আরও বিস্তার ঘটুক। অনেক দামে কেনা স্বাধীনতার মূল্যবোধ সবসময় থাকুক অক্ষুণ্ণ।
২০২০ সাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বপ্নের পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হওয়া, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা, যুবা ক্রিকেট দলের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়সহ নানা ইতিবাচক ঘটনার জন্যে।
২০২০ সালে মহামারি করোনায় প্রাণ ঝরেছে অনেক। কিন্তু মানুষ হার মানেনি। তারা করোনাযুদ্ধে জয়ী হতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে করোনার টিকা আবিষ্কার হয়েছে। নতুন বছরে বিশ্ব এখন করোনা জয়ের অপেক্ষায়।
বড় ধরনের বিপর্যয়ে মানুষ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়। ঘুচে যায় সংকীর্ণতা। ২০২০ সালে বিষাক্ত করোনাকালেও একই ব্যাপার ঘটেছে। মানুষ মানুষের জন্য কেঁদেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়িয়েছে মানবতার হাত।
বিদায়ী বছরে করোনা মোকাবিলায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। জনসচেতনতা সৃষ্টি, ত্রাণ, প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার। অন্যদিকে করোনা টেস্ট, ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, করোনাসামগ্রী কেনায় অনিয়মসহ নানা ইস্যু উঠে এসেছে আলোচনায়।
এসবের বাইরে ২০২০ সাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বপ্নের পদ্মা সেতু দৃশ্যমান হওয়া, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা, যুবা ক্রিকেট দলের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়সহ নানা ইতিবাচক ঘটনার জন্যে।
বিদায়ী বছরে করোনা মোকাবিলায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার। অন্যদিকে করোনা টেস্ট, ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, করোনাসামগ্রী কেনায় অনিয়মসহ নানা ইস্যু উঠে এসেছে আলোচনায়।
প্রাণঘাতী করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের খবরও এসেছে ২০২০ সালেই। এরইমধ্যে আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
বাঙালির জীবনে গ্রেগরিয়ান নববর্ষ পালনের রেওয়াজ ব্রিটিশ শাসনামল থেকে। সম্প্রতি তা পরিসরে বেড়েছে। ইংরেজী নববর্ষ হিসেবে বাঙালির কাছে পরিচিত দিবসটি পালনের ধরন পৃথিবীর অন্যসব দেশের মতোই। সাধারণ মানুষ এদিন একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। শুভেচ্ছা কার্ড, এসএমএস, ফেসবুক, টুইটার, ই-মেইলে হাজার হাজার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। পুরাতন বছর যেমনই কাটুক, নতুন বছর যেন ভালো কাটে সেই কামনা থাকে সবার জন্যে।
এ বছর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে বাজি ফুটিয়ে, ফানুস উড়িয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে মানুষ।
‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’ এই মূলমন্ত্র মনে রেখে আমরা যেন মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি। আমরা যেন এই মন্ত্রে দীক্ষিত হই যে- তোমার মতামতের সঙ্গে হয়ত আমি একমত নাও হতে পারি, কিন্তু তোমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য আমি বুক উজাড় করে পাশে দাঁড়াব।
সকলের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, জীবন ও রক্তকে পবিত্রজ্ঞান করে, সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধির ২০২১ শুরু হোক বাংলাদেশে। জীবনমানের উন্নয়ন ও স্বাধীনতার স্বাদকে আরও সুমিষ্ট করতে সকলে মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটাকে গড়ে তুলব- এই হোক আমাদের নববর্ষের প্রত্যয়।
এইচকে