টিসিবির পণ্যের বস্তা পাল্টে যেত আনোয়ারের গোডাউনে
ডিলারের মাধ্যমে সারাদেশে তেল চিনি, আটা, চাল পেঁয়াজের মতো নিত্যপণ্য বিক্রি করে আসছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তবে অসাধু ডিলারদের কেউ কেউ সেই পণ্য বিক্রি করছেন অন্যত্র।
বস্তা পরিবর্তন করে টিসিবির পণ্য অন্য জায়গায় বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর তালতলা থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় বিপুল পরিমাণ চাল, আটা, তেল ও পেয়াজ জব্দ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর আগারগাঁও তালতলা বাজার সংলগ্ন সরকারি কলোনিতে অভিযান চালায় র্যাব-২ এর একটি দল।
সেখানে র্যাব-২ এর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম। অভিযান সম্পর্কে র্যাব-২ এর সিপিসি (সদর) মেজর সাঈফ জানান, যেসব পণ্য সরকারি মূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করার কথা, সেগুলো অন্যত্র সরিয়ে বিক্রি করা হচ্ছিল, যা কালোবাজারি। এসবের নেপথ্যের খলনায়ক টিসিবির স্থায়ী ডিলার মো. আনোয়ার। তার অপকর্মের সহযোগী ম্যানেজার মিলন মিয়া। তারা দুজনই পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।
বিজ্ঞাপন
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওএমএস ও খাদ্য অধিদফতর থেকে সরকার নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষের কাছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য টিসিবির মাধ্যমে ডিলারদের সরবরাহ করে থাকে। তবে মিরপুর এলাকার এ অসাধু ডিলার আনোয়ার তা সাধারণদের কাছে সুলভ মূল্যে বিক্রি না করে গোডাউনে মজুদ করেছেন। সেখানে তিনি বস্তা পরিবর্তন করে অন্য নামে টিসিবির পণ্য প্যাকেজিং করে বিক্রি করে আসছিলেন।
অভিযানকালে ওএমএস ও খাদ্য অধিদফতরের ১০ হাজার ৫০০ কেজি চাল, খাদ্য অধিদফতরের আটা ৬ হাজার ৯০০ কেজি, টিসিবির ছোলা ৫ হাজার ৯০০ কেজি, চিনি ৫০০ কেজি, টিসিবির তেল ১৫৬ বোতল (২ কেজি ওজনের), খেজুর (খোলা) ১৪০ কেজি ও পেঁয়াজ ১৬০ কেজি। এছাড়াও ৪৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট মাজহার বলেন, জব্দকৃত সব পণ্য নিলামে তুলে বিক্রিলব্ধ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হবে। অভিযানকালে জাহেদুল ইসলাম, মো. শাহজাহান ও জাকারিয়া হোসেন নামে তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জেইউ/আরএইচ