শরীরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জ্যাকেট ও হাতে ওয়াকিটকি। এরপর একটি গাড়িযোগে নামেন অভিযানে। যা পান লোকজন থেকে তাই হাতিয়ে নেন। এছাড়া সুবিধামতো একজনকে ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়ে হানা দেয় হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং বিভিন্ন কারখানায়। অনিয়মের কথা বলে জরিমানা এবং সেই টাকা আদায় করেন তারা। অনিবন্ধিত বিভিন্ন পোর্টালে প্রকাশিত হতো সেসব অভিযানের খবরও।

আবার শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিদেশফেরত যাত্রীদের টার্গেট করে অভিযানের কথা বলে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ মালামাল হাতিয়ে নিতেন তারা। নারীদের দিয়ে ফাঁদে ফেলে টার্গেট করা ব্যক্তিদের নিজেদের ঠিকানায় নিয়ে আপত্তিকর দৃশ্য ধারণ করে আদায় করতেন টাকা।

বহুরূপী দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের পর এমন সব তথ্য দিয়েছে নগরের কোতোয়ালি থানা পুলিশ। এর আগে তাদের আট সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে এবার মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার হওয়ায় চক্রটির অপরাধ জগতের সন্ধান পায় পুলিশ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) মো. হোসেন (৩৩) ও মো. ওমর ফারুক সালমান (২০) নামে ওই দুই আসামিকে কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন (বৃহস্পতিবার) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলাটি তদন্ত করছেন কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, অবস্থা এমনও হয়েছে অভিযুক্তরা সুপরিচিত একটি স্টিল কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ জরিমানা করেছে। আবার সেই অভিযানের খবর তাদের নিয়ন্ত্রিত অননুমোদিত অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে। একজন ডিবি পুলিশ সেজে অভিযান পরিচালনা করে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও মালামাল হাতিয়ে নিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, বুধবার গ্রেপ্তার হওয়া আসামি হোসেন মূল পরিকল্পনাকারী। তিনি সবকিছুতেই নেতৃত্ব দিতেন। এ চক্রের আরও ৮ জনকে আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অভিযুক্তরা নগরের বিভিন্ন এলাকায় কখনো হোটেলে কিংবা কারখানায় ম্যাজিস্ট্রেট ও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সেজে অভিযান পরিচালনা করতেন। আবার নারীদের দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেইল করতেন। 

এমআর/এসকেডি