মিরপুর ১ নম্বর চিড়িয়াখানা সড়কটি তিন লেনের। অথচ বাস পার্কিং করে রাখায় তা এক লেন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার সকালের দৃশ্য এটি।

চলমান কঠোর বিধিনিষেধে দেশজুড়ে বন্ধ রয়েছে বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু নির্দিষ্ট পার্কিং এলাকা না থাকায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবৈধভাবে রাখা হয়েছে বাস। এতে রিকশা, ভ্যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। 

মিরপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীতে চলাচলকারী অধিকাংশ বাসের নির্দিষ্ট পার্কিং এলাকা নেই। তাই কঠোর বিধিনিষেধ চলাকালে মিরপুরের বিভিন্ন অলিগলির সড়ক রয়েছে বাসের দখলে। অনেক জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কেও বাস পার্কিং করে রাখা আছে।

স্থানীয়রা বলছেন, যেখানে সরকারি বাসের নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের জায়গা আছে, সেখানে ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়িগুলো বিভিন্ন সড়কে পার্কিং করা হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর এলাকার বিভিন্ন সড়কে এ চিত্র দেখা গেছে। মিরপুর-২ নম্বর, চিড়িয়াখানা, দুয়ারিপাড়া, মিরপুর- ১০, ১১,১২ ও মিরপুর-১৪ নম্বরের বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে বাস।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ছয় লেনের রাস্তার চার লেনই পার্কিং করা গাড়ির দখলে। মিরপুর-১২ নম্বর এলাকায় শিকড়, প্রজাপতি, বিহঙ্গ, খাজাবাবা, রবরবসহ রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস পার্কিং করে রাখা হয়েছে। মিরপুরের দুয়াড়িপাড়ায় প্রধান সড়কে আশীর্বাদ, বিহঙ্গ পরিবহন সড়কের চার ভাগের দুই ভাগ জায়গা দখল করে রেখেছে। একই অবস্থা চিড়িয়াখানার প্রধান সড়কেও।

মিরপুর-১২ এলাকায় সবুর নামে এক পথচারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাস্তায় বাস পার্কিংয়ের ফলে সড়কের বিশালতা বোঝা যাচ্ছে না। অন্যান্য ছোটখাটো যেসব গাড়ি চলে সেগুলোও ঠিকমতো চলতে পারে না। মাঝেমাঝেই যানজট দেখা দিচ্ছে।

চিড়িয়াখানা এলাকার বাসিন্দা রসুল বলেন, এখানে ছয় লেনের রাস্তা গাড়ি রাখার কারণে দুইপাশে দুই লেন হয়ে গেছে। মূল সড়কের ৭০ শতাংশ দখল করে বাস পার্কিং করে রাখায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কোনো বড় গাড়ি ওই সড়কে ঢুকলে পার্কিং করে রাখা বাসগুলোর সঙ্গে লেগে যায়। আমার মতে, ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়িগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পার্কিং করে রাখা উচিত।

দুয়ারিপাড়ার বাসিন্দা মাসুদ বলেন, সড়কের পাশে বাজার, তার ওপর সড়ক বন্ধ করে গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়েছে। বাজার পাশে থাকায় এ এলাকায় সবসময় মানুষের চাপ থাকে। রাস্তা দখল করে গাড়ি পার্কিং করে রাখায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে  চলাচলকারীদের।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহর সঙ্গে একাধিকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ বিষয়ে পরিবহন সেক্টরের মহাব্যবস্থাপক বলতে পারবেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক মো. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডিএনসিসির সড়কে পার্কিং করা গাড়ি সরাতে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে রয়েছে। দ্রুতই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এসআর/এসকেডি