হাবীবুল্লাহ সিরাজীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তার পাকস্থলীর অপরারেশনও সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে, এখনও তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল তার পাকস্থলীর টিউমারের অপারেশন করা হয়েছে। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এখন তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বোঝা যাবে তার শারীরিক অবস্থার কতটা উন্নতি হয়েছে।
গত ২৫ এপ্রিল থেকে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
বিজ্ঞাপন
২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর তিন বছরের জন্য বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় হাবীবুল্লাহ সিরাজীকে। বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, হাবীবুল্লাহ সিরাজী ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক, ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।
হাবীবুল্লাহ সিরাজীর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে কবিতাগ্রন্থ- দাও বৃক্ষ দাও দিন, মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি, হাওয়া কলে জোড়াগাড়ি, নোনা জলে বুনো সংসার, স্বপ্নহীনতার পক্ষে, আমার একজনই বন্ধু, পোশাক বদলের পালা, প্রেমের কবিতা, কৃষ্ণ কৃপাণ ও অন্যান্য কবিতা, সিংহদরজা, বেদনার চল্লিশ আঙুল, ম্লান, ম্রিয়মাণ নয়, বিপ্লব বসত করে ঘরে, ছিন্নভিন্ন অপরাহ্ন, জয় বাংলা বলো রে ভাই, সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না, সুগন্ধ ময়ূর লো, নির্বাচিত কবিতা, মুখোমুখি : তুচ্ছ, স্বনির্বাচিত প্রেমের কবিতা, হ্রী, কতো আছে জলছত্র, কতোদূর চেরাপুঞ্জি, কাদামাখা পা, ভুলের কোনো শুদ্ধ বানান নেই, একা ও করুণা, যমজ প্রণালী, আমার জ্যামিতি, পশ্চিমের গুপ্তচর এবং কবিতাসমগ্র। উপন্যাস- কৃষ্ণপক্ষে অগ্নিকাণ্ড, পরাজয়। অনুবাদ- মৌলানার মন : রুমীর কবিতা। আত্মজৈবনিক- আমার কুমার। গদ্যগ্রন্থ- দ্বিতীয় পাঠ, মিশ্রমিল, গদ্যের গন্ধগোকুল। শিশুসাহিত্য- ইল্লিবিল্লি, নাইপাই, রাজা হটপট, ফুঁ, ফুড়ুৎ, মেঘভ্রমণ, ছয় লাইনের ভূত ও ছড়াপদ্য।
হাবীবুল্লাহ সিরাজী ২০১৬ সালে একুশে পদক, ১৯৯১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ২০০৭ বিষ্ণু দে পুরস্কার, ২০১০ সালে রূপসী বাংলা পুরস্কার, ২০১০ সালে কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮৭ সালে যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার ও ১৯৮৯ সালে আলাওল সাহিত্য পুরস্কার পান।
এএইচআর/এফআর