মুফতি হারুন ইজহার

চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানা ভবন, ভূমি অফিস, ডাকবাংলোতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কমিটির শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুফতি হারুন ইজহারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল।

তিনি বলেন, ২৬ মার্চ হাটহাজারীতে যে নাশকতা ও ভাঙচুর হয়েছে তার সঙ্গে হারুন ইজহারের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে এতদিন গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছিল। ২৬ মার্চের পর থেকে দুইদিন হাটহাজারীতে যে সহিংসতা হয়েছে তার প্রত্যক্ষ মদদদাতা ছিলেন এই হারুন ইজহার। 

তিনি আরও বলেন, হারুন ইজহারকে হাটহাজারী থানার নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে। তাকে কিছুক্ষণ পরে হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে বুধবার রাতে তাকে চট্টগ্রামের লালখান বাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা থেকে আটক করে র‍্যাব-৭। এরপর পতেঙ্গা র‍্যাব-৭ কার্যালয়ে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে হাটহাজারীতে সহিংসতার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেছেন হারুন ইজহার, এমনটাই জানিয়েছেন র‍্যাব কর্মকর্তারা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরবিরোধী কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। থানায় হামলা, ভূমি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় হাটহাজারী থানায় সাতটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জুনায়েদ বাবুনগরীসহ হেফাজতের অন্যান্য নেতাদের এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে।

কেএম/আরএইচ