স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে, শ্রমিকদের গুলি খেয়ে জীবন দিতে হচ্ছে দাবি করেছে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন। সংগঠনটি বলছে, জীবনযাত্রার ব্যয় পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পেলেও চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা রয়ে গেছেন পুরনো মজুরিতেই।

শনিবার (১ মে) আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আশরাফ আলী আকন ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে এসেও ন্যায্য দাবির বিষয়ে কথা বলার কারণে শ্রমিকদের গুলি খেয়ে জীবন দেওয়ার মতো ঘটনা যেমন ঘটেছে, তেমনি জীবনযাত্রার ব্যয় পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধির পরও দেশের চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের দৈনিক ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করতে হচ্ছে।

তারা বলেন, দেশে দুর্নীতি দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে এক শ্রেণির লুটেরার দল আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। অপরদিকে আল্লাহর বন্ধু নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমিকরা অমানুষিক পরিশ্রম করে ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অধিকার ও ন্যায্য দাবির কথা বললেই তাদের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। যা কোনো সভ্য দেশে চলতে পারে না।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন শ্রমিক হত্যা, শ্রমিক অধিকার হরণ ও কল কারখানায় মালিক-শ্রমিক সংঘর্ষ চায় না। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চায় মালিক শ্রমিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে, উৎপাদন বৃদ্ধি করতে, সমৃদ্ধি ও কর্মক্ষেত্রে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে। সুসম্পর্ক, উৎপাদন, সমৃদ্ধি ও কর্মক্ষেত্রে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টিতে ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠা হলে- শ্রমিকের মজুরি সমস্যা দূরীভূত হবে, কাজের সময় নির্ধারণ থাকবে, কাজের প্রকৃতি বা ধরন নির্ধারণ থাকবে, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের স্থানান্তর-গমনের অধিকার থাকবে, লাভের অংশীদারিত্ব থাকবে, স্বাস্থ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে, শ্রমিকের সন্তানদের শিক্ষা-দীক্ষার সুযোগ দান, বাসস্থানের অধিকার, কর্মক্ষেত্রে ক্ষতির দায় থেকে শ্রমিক মুক্তি পাবে, চাকরির নিরাপত্তা পাবে, দাবি-দাওয়া পেশের অধিকার পাবে, বৃদ্ধ বা অসুস্থকালীন ভাতা ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, কারখানায় কাজ করাকালীন দুর্ঘটনায় কোনো শ্রমিক মারা গেলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাবার অধিকার পাবে।

জেইউ/এসএসএইচ