মে দিবসে ১০ দাবি জানালেন সিএনজি চালকরা
সিএনজি চালকদের সমাবেশ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ঘোষণা অনুযায়ী সিএনজিচালিত অটোরিকশার নিবন্ধন প্রক্রিয়া দ্রুত বাস্তবায়নসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিএনজি অটোরিকশা চালক সংগ্রাম পরিষদ নামের একটি সংগঠন।
শনিবার (১ মে) মহান মে দিবসে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের সদস্যরা সিএনজি চালিয়ে এসে এক সমাবেশ করে এসব দাবি জানান।
বিজ্ঞাপন
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- চালকের জন্য নামমাত্র সরল সুদে সিএনজিচালিত অটোরিকশা কেনার জন্য দীর্ঘমেয়াদি ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে ও এক্ষেত্রে সরকারকে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দিতে হবে; চালক ছাড়া ব্যক্তি মালিকানায় সিএনজি অটোরিকশার নিবন্ধন (ব্লু-বুক) প্রদান করা যাবে না; ঢাকা মেট্রোতে সিএনজি অটোরিকশার দৈনিক জমা ৫০০ টাকা ও অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা করতে হবে; বর্তমানে গাড়ির মালিকদের সিএনজি অটোরিকশা চালকদের নিয়োগপত্র দিতে হবে; নতুন লাইসেন্স ও পুরাতন লাইসেন্স নবায়ন সহজ শর্তে ও অল্প অর্থে প্রদান করতে হবে; মহাসড়কে সিএনজি চলাচলের অনুমতি দিতে হবে; সড়কের খানাখন্দ ঠিক করে জেব্রা ক্রসিং, স্পিড ব্রেকার ও রোড ডিভাইডার এবং শাখা সড়কে (অ্যাপ্রোচ) অ্যারো চিহ্ন দৃশ্যমান রঙে রঙিন করতে হবে এবং দেশের যেসব সেতুগুলোতে টোলের ব্যবস্থা আছে সেখানে সিএনজি অটোরিকশার ক্ষেত্রে টোল ৫০ শতাংশ কর্তন করতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে সিএনজি অটোরিকশা চালকসহ লাখ লাখ শ্রমিক কাকডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করেন। চালক হওয়ায় অন্ন, বস্ত্র, ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার খরচ চালানো, মাস শেষে ঘরভাড়াটাও একসঙ্গে দেওয়া দায় এবং পরিবার-পরিজন অসুস্থ হলেও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে না। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সিএনজি অটোরিকশার চালকরা মালিকদের, প্রশাসন ও চাঁদাবাজ দালালদের অত্যাচার সহ্য করে এসেছি। এখন এর মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশে অভাব-অনটন দেখা দিয়েছে। স্কুল, কলেজ ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসহ বিনোদনকেন্দ্রগুলো খোলার আগেই সিএনজি মালিকেরা করোনার আগের মতো অনৈতিকভাবে মাসে দুবার জমা বৃদ্ধি করেছে। বর্তমানে আমরা প্রতিদিন ১৫০০ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে যাত্রা শুরু করি। তাই আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্তত আমরা যেন একটু ভালো থাকতে পারি।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে সংগঠনের আহ্বায়ক শেখ হানিফ, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, ফোরকান, এ আর জাহাঙ্গীরসহ অন্যান্য চালকরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএইচএন/এফআর