ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধ না করলে আন্দোলনের বিস্ফোরণ ঘটবে। তাই দ্রুত শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন ঢাকা মহানগর শাখা।

শুক্রবার (৭ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার করোনা মহামারিতে দেশের শ্রমিকদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে মালিকদের স্বার্থে শিল্প-কারখানা চালু রেখেছে। অথচ তাদের ঠিকমতো বেতন-বোনাস দেওয়া হয় না। এর মধ্যে শ্রম আইনের কর্মঘণ্টা ও ওভারটাইম সম্পর্কিত ধারা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে মালিকরা তাদের ইচ্ছেমতো শ্রমিকদের উপর কাজের চাপ সৃষ্টি করে উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে তৎপরতা চালাচ্ছে। আসন্ন ঈদের পূর্বে বেতন-বোনাস পাওয়ার অনিশ্চয়তা শ্রমিকদের এতটাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করেছে যে, যেকোনো সময় আন্দোলনের একটা বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই আমরা শ্রমিকদের গতানুগতিকভাবে দায়ী করার পথ পরিহার করে ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।

বক্তারা বলেন, বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ মালিকদের কয়েকটি সংগঠন এ বছরও শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধের অজুহাত দেখিয়ে সরকারের কাছে বড় অংকের প্রণোদনা প্যাকেজের প্রস্তাব করেছে। কিন্তু গত বছরের নির্মম অভিজ্ঞতা থেকে এটা বুঝতে পারি, মালিকরা মূলত ব্যবসায় দুরবস্থার কথা বলে বেতন-বোনাস থেকে শ্রমিকদের বঞ্চিত করার এবং সরকারের দেওয়া প্রণোদনার টাকা শ্রমিকদের না দিয়ে লুটপাটের পাঁয়তারা করছেন। তাই মালিকদের এই অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে মালিকদের নির্দেশ দেওয়ার জন্য আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাই।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি রাজু আহমেদ, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মানস নন্দী, গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্য তসলিমা আকতার বিউটি, সংগঠনের ঢাকা নগর শাখার সদস্য ভজন বিশ্বাস। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সভাপতি সীমা দত্ত।

এমএইচএন/এসকেডি