পুরান ঢাকা এলাকার মার্কেটগুলোর সামনে মানুষের ভিড়, তোয়াক্কা নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

রাজধানীর পুরান ঢাকার শপিংমলগুলোতে এবার ঈদের আমেজ খুব একটা নেই। ক্রেতাদের ভিড় আর বেচাকেনার যে রমরমা অবস্থা অন্যবার থাকে সেটি এবারে দেখা যাচ্ছে না। অল্পসংখ্যক ক্রেতা আসছেন, যাদের অনেকে আবার স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।  

রোববার (৯ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পুরান ঢাকার শপিংমলগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। ঈদকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকার ওয়াইজ ঘাট রোড, সিমসন রোড়, পাটুয়াটুলী, ইসলামপুর, লেডিস হকার্স মার্কেট, সদরঘাটের গ্রেট ওয়াল শপিংমলগুলোতে চিরায়ত বেচাকেনার সেই ধুম নেই। বেচাকেনা তেমন একটা না হওয়াতে দোকানদাররা অলস সময় পার করছেন। শাড়ি, থ্রি-পিস, লুঙ্গি, বোরকা, শার্ট-প্যান্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামার দোকানগুলোতে ঈদ উপলক্ষে ব্যস্ততার কোনো ছাপ দেখা যায়নি।

এদিকে দোকানদার ও ক্রেতাদের অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। যাদের আছে তারাও ঠিকভাবে তা পরেননি। কারও থুতনিতে ঝুলছে, কারও নাক ঢাকতে পারেনি মাস্ক। সামাজিক দূরত্ব মানছেন না কেউই। 

ক্রেতা না থাকায়া অলস সময় পার করছেন দোকানিরা

ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মো. সোলাইমান হায়দার নামে একজন বলেন, ‘পরিবারে বাচ্চা ও মা-বাবা আছে তাদের জন্যে কাপড়চোপড় কিনতে এসেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি, কেনাকাটা হয়ে গেছে। বাচ্চার পোশাকটা কেনা হলে বাসায় চলে যাব।’

বোরকা ও হিজাব দোকানের মালিক হাজী আবদুল কাদের বলেন, ‘আমাদের লকডাউনের আগে বেচাকেনা ছিল, এখন নেই। ঈদের পরে বাড়তে পারে, তবে গণপরিবহন ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে।’

ইসলামপুরের অরুণা থ্রি-পিস সেন্টারের কর্মচারী মো. সাদমান বলেন, ‘লকডাউনের সময় আমাদের দোকান বন্ধ ছিল। সরকারি বিধিনিষেধ মেনে দোকান খোলা হয়েছে, তবে কোনো ক্রেতা নেই। সকাল থেকে বসে আছি, বেচাকেনা বন্ধ।’

গুলশান আরা সিটি মার্কেটের মা-বাবার দোয়া ফেব্রিকসের স্বত্বাধিকারী রানা হাসান বলেন, ‘আমাদের বিক্রি টুকটাক সবসময় হয়ে থাকে। তবে এবার রমজানের শুরুতে লকডাউন দেওয়ার কারণে বেচাকেনা হয়নি। ঈদের আগেও বেচাকেনা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

সদরঘাটের গ্রেট ওয়াল শপিংমলের গোল্ডেন মাইলসের কর্মচারী মো. রকি বলেন, ‘সড়কে গাড়ি চলাচলের পর থেকে বেচাকেনা হচ্ছে মোটামুটি। তবে পরিবহন চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে বেচাকেনা আরও বাড়ত। ঈদের আগে বেচাকেনা বাড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।’

এমটি/এফআর/জেএস