রাজধানীতে যানজট নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য বিতরণ করছে রেড ক্রিসেন্ট

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগ জাতীয় সদর দফতর যুব রেড ক্রিসেন্ট বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। রোববার (৯ মে) এ তথ্য জানায় রেড ক্রিসেন্ট। 

কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- রাজধানীর বিভিন্ন ট্রাফিক পয়েন্টে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা ও করোনা সচেতনতায় মাইকিং, তিনটি প্রথম সারির হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক ও নার্সদের ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান, স্বেচ্ছায় রক্ত সংগ্রহ অভিযান এবং রাজধানীর ভাসমান ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ।

এতে জানানো হয়, এ সকল কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস্তবায়নে করা হচ্ছে বলে রেড ক্রিসেন্টের জাতীয় সদর দফতর যুব রেড ক্রিসেন্টের এর পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সংস্থাটি জানায়, রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকার রাস্তায় যানজট নিরসনে রাজধানীর ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক পয়েন্টে (মগবাজার চৌরাস্তার মোড়, সোনারগাঁও মোড়, আসাদগেট, মতিঝিল শাপলা চত্বর, গুলশান-১ ও শাহবাগ এলাকায় ট্রাফিক পুলিশদের সহায়তা করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যক্রম চালিয়েছে যুব ও স্বেচ্ছাসেবকরা।

গত বৃহস্পতিবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিদিন রাজধানীর এই ছয়টি স্পটে ট্রাফিক আইন মানা ও পথচারীদের পারাপারে জনসাধারণ ও ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করছে।

অপরদিকে, জাতীয় সদর দফতর যুব রেড ক্রিসেন্ট সদস্যদের নিজস্ব অর্থায়নে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় নাক-কান-গলা ইন্সটিটিউট ও হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে কর্মরত প্রায় ৫০০ ডাক্তার ও নার্সদের ঈদ উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও করোনা ও চলমান লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানী ঢাকার দরিদ্র, ভাসমান ও নিম্ন আয়ের মানুষদের মাঝে প্রতিদিন এক হাজার প্যাকেট রান্নাকরা খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ইফতারের আগ মুহূর্তে অসহায় এসব মানুষের হাতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকরা।

যুব রেড ক্রিসেন্ট প্রধান তাজনূর আহম্মদ সেঁওতি জানান, বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে সোসাইটির যুব ও স্বেচ্ছাসেবক বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় জাতীয় সদর দফতর যুব রেড ক্রিসেন্টের উদ্যোগে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আগামীতেও এই মানবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।

এনআই/ওএফ