অভিযুক্ত কে এম মীরাজুল ইসলাম

ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাদের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিতেন এক যুবক। পরে সেসব ছবি ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাইতেন বিপুল অংকের টাকা। 

পুলিশের সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের কাছে রিমান্ডে এক যুবক নিজের এমন অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতার ওই যুবকের নাম কে এম মীরাজুল ইসলাম। তার বয়স ২৮ বছর। দেশি-বিদেশি অসংখ্য অপ্রাপ্ত বয়স্কের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ছড়িয়েছেন তিনি। 

গত মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে ২ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাবাদ করে পুলিশ তার অপকর্মগুলো জানতে পারে।

রোববার (৩ জানুয়ারি) সকালে সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে জানান, মীরাজুলকে দুইদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ কারাগারের পাঠানোর আদেশের জন্য আদালতে তোলা হয়েছে।

মীরাজুলের বিষয়ে তিনি বলেন, একজন ভারতীয় শিশুর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ঢাকার মুগদা থানাধীন অতীশ দীপঙ্কর সড়কের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ। গ্রেফতারের সময় শিশু পর্ণগ্রাফির কাজে ব্যবহৃত তার মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আইডিগুলো জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মীরাজুল অনলাইনে উঠতি বয়সীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে নানা কৌশলে ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ করতেন। এসব ভিডিও সংরক্ষণ করে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সরবরাহ ও আপলোড করতেন। তিনি বিভিন্ন কৌশলে ও প্রলোভনে ছবি ও ভিডিও দিতে উৎসাহিত করতেন।

সাইবার বিভাগ জানায়, সম্প্রতি মীরাজুল তার ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ আইডি থেকে ভারতীয় এক শিশু ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রুপি দাবি করেন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে মীরাজুলকে খুঁজতে সাইবার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন টিম, সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, সিটিটিসি ও ডিএমপি একযোগে কাজ করে।

এআর/এইচকে