চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার এজহারনামীয় আসামি সাইদুল ইসলাম সিকদার প্রকাশ শাকুকে আদালতে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দুপুরে তাকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালতে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই।

এর আগে বুধবার রাতে রাঙ্গুনিয়ার রানিরহাট বাজার এলাকা থেকে আটক করে করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম। পরে আজ সকালে তাকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আটকের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার।

বুধবার মাহমুদা খানম মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাইদুল ইসলাম সিকদার প্রকাশ শাকু সাত নম্বর আসামি। একই মামলায় প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। 

এদিকে মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

এর আগে মঙ্গলবার রাতে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার মিতু হত্যা মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআইতে ডাকা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে পিবিআই স্ত্রী হত্যায় বাবুলের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে তদন্তকারী দল। তাই তাকে পিবিআই হেফাজতে রাখা হয়েছে। মামলার তদন্তের বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন তিনি। তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। একপর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী বাবুল আক্তারের নাম।

কেএম/এসএম