ভাষানটেকে দোকান চুরিতে বাধা দেওয়ায় নাইট গার্ড খুন
রাজধানীর ভাষানটেকে একটি মার্কেটে ব্যাটারির দোকানে চুরির সময় বাধা দেওয়ায় মো. সুজন (৪০) নামে এক নাইট গার্ড খুন হয়েছেন। এসময় আব্দুল মজিদ (৭০) নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীও আহত হয়েছেন।
রোববার (১৬ মে) ভোরের দিকে ২১১/৭ পুরাতন কচুক্ষেত জেসমিন টাওয়ারে ওই চুরির ঘটনা ঘটে। বাধা দেওয়ার পর নাইট গার্ড সুজনকে গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে তুলে নিয়ে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানাধীন বেতার ভবনের সামনে ফেলে যায় খুনিরা।
বিজ্ঞাপন
সুরতহাল শেষে মরদেহ শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাষানটেক থানার পরিদর্শক (অপারেশন) খোরশেদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহত সুজন ওই মার্কেটের নাইট গার্ড ছিল। পাশাপাশি তিনি রাতে একটি চায়ের দোকানও পরিচালনা করতেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জেনেছি, রোববার ভোরে পাশের একটি দোকান থেকে কয়েকজন ব্যাটারি নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন এমন দৃশ্য দেখে বাধা দেন সুজন। বাধা পেয়েই তাকে জাপটে গাড়িতে ওঠায়। এসময় বাধা দেওয়ায় আহত হন প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল মজিদ। তিনিই জানান, নাইট গার্ড সুজনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিষয়টি জানার পরই ভোরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ভাষানটেক থানার টহল টিম। পরে শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ একটি মরদেহ পাওয়ার তথ্য জানালে খোঁজ নেয় ভাষানটেক থানা- বলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এবিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুনসি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ভোরে আমাদের থানার একটি টহল টিম খবর পায় বেতার ভবনের সামনে অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তার গলায় গামছা পেঁচানো ছিল। ফাঁসের দাগ দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
ভাষানটেক থানার পরিদর্শক খোরশেদ আলম বলেন, খুনিরা পরিচিত হতে পারেন। নইলে নাইটগার্ডকে খুন করবেন কেন? খুনি কারা তা জানতে আমরা আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করছি।
জেইউ/এসএম