‘আমি অপহরণ হইছি, স্যার’
আমি অপহরণ হইছি, স্যার। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজে এমন একটি মেসেজ আসে। মেসেজটি পড়ে পুলিশ সদর দপ্তরের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ। সেটি পড়েই ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় বেগমগঞ্জ থানাকে।
মেসেজে বাবলু নামে একজন পুলিশকে লেখেন, ‘আমি মোহাম্মদ বাবলু। আমি অপহরণ হইছি, স্যার। আমি গতকাল ২টায় অপহরণ হই। আমার পরিবার সাথে সাথে বিষয়টি আমার সদর থানা বেগমগঞ্জ থানায় জানান। পরে আমার পরিবারের কাছে থাকা ২৩ হাজার ও আমার কাজিন থেকে নেওয়া ২২ হাজার টাকাসহ মোট ৪৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে আমাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাদের কথা মতো টাকা দেওয়ার পরেও আমাকে মারধর করে জখম করা হয়। বিষয়টি থানায় জানিয়েছি, দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন। আমার ফোন নম্বর…’
বিজ্ঞাপন
মেসেজ পড়েই বাবলু ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে পুলিশ। বেগমগঞ্জ থানা ও আশপাশের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ কামরুজ্জামান সিকদারকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। তদন্ত করে অপহরণের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. সোহেল রানা বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অভিযোগকারী যুবক নিজেই মাদকাসক্ত। সে বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে। সেখান থেকে সে তার এক কাজিনকে সাথে নিয়ে অভিযোগে উল্লিখিত এলাকায় মাদক সেবন করতে গিয়েছিল। এই এলাকায় তাকে নতুন পেয়ে এলাকারই অন্য কিছু বিপথগামী ছেলে তাকে হেনস্থা করে এবং তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখে। তার কাছে যে টাকা-পয়সা ছিল তা ছিনিয়ে নেয়। তাকে ছাড়িয়ে নিতে আরও টাকা আনতে বলে। সে পরিপ্রেক্ষিতে মোট ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে সে ও তার কাজিন ছাড়া পায়। টাকা আদায় করতে অভিযোগকারীকে মারধরও করা হয়।
বিজ্ঞাপন
পরে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের বার্তার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন অন্তর, নাইম, রনি, শওকত ও রকি।
এআইজি সোহেল রানা বলেন, অভিযোগকারীও ভবিষ্যতে কখনই মাদক সেবন করবেন না বা মাদকের সাথে কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা রাখবেন না, এই মর্মে মুচলেকা প্রদান করেছেন।
এআর/এনএফ