সিটি বাস চলার সুযোগে চিড়িয়াখানায় এসে বিপত্তিতে মানুষ
রাজধানীর চিড়িয়াখানা / ছবি- ঢাকা পোস্ট
করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকারের বেঁধে দেওয়া বিধিনিষেধ চলমান আছে। বিধিনিষেধের প্রথম প্রজ্ঞাপনে দেশের পর্যটন শিল্প বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় সরকার। তবে চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেই সরকার শপিংমল, দোকানপাট ও সিটি পরিবহন চালু করেছে। সিটি পরিবহন চলার সুযোগে বিনোদন কেন্দ্রে এসে বিপত্তিতে পড়ছে সাধারণ জনগণ। দূরদূরান্ত থেকে রাজধানীর চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে এসে ক্ষোভ নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে ফিরে যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
রোববার (১৬ মে) রাজধানীর চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের সামনে দর্শনার্থীদের সমাগম দেখা যায়। বাড্ডা থেকে জুনায়েদ নামের এক দর্শনার্থীকে এদিন জাতীয় চিড়িয়াখানার সামনে প্রবেশের জন্য সিকিউরিটির সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করতে দেখা যায়। ঢাকা পোস্টের এই প্রতিবেদক জুনায়েদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিড়িয়াখানার গেট খোলে না কেন? চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকলে তারা টিভিতে হেডলাইনে ঘোষণা দেবে না? সরকারের তো উচিত ছিল যে চিড়িয়াখানা বন্ধ এটা জানানো। আমি তো জানি, চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে চালু হয়েছে চিড়িয়াখানা। আমার বাচ্চার আবদার পূরণ করতে তাকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছি।
বিজ্ঞাপন
চিড়িয়াখানার গেটের সিকিউরিটির সাথে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে এই দর্শনার্থী বলেন, হাতিরঝিল খোলা, জিয়া উদ্যান (বর্তমানে চন্দ্রিমা উদ্যান) খোলা রয়েছে। তাহলে চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকবে কেন? আমরা জানি দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর বাইরে সবই তো খোলা।
বিজ্ঞাপন
মোছা. শিরিন আক্তার নামের এক দর্শনার্থী শুধু চিড়িয়াখানা ঘুরতে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা এসেছেন বলে এই প্রতিবেদককে জানান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকার পাগল হয়ে গেছে। সরকার কি আরম্ভ করছে দেশে? দেশটা তো সরকারের একার না। মানুষ না খেয়ে মরছে সেটা তো সরকার দেখছে না। গত বছর মানুষকে সরকার সহায়তা করেছে কিন্তু এবার তো কিছুই দেয়নি। সরকার কি এগুলো দেখে না, সাধারণ পাবলিক মরে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার নিজের মতো সবকিছু বন্ধ করে দিছে। সাধারণ মানুষের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে সরকার। কেন প্রতিশোধ নিচ্ছে এটা কেউ জানে না। সরকার কাউকে বাঁচাতে চায় না।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মো. আবদুল লতিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই চিড়িয়াখানা বন্ধ রয়েছে। তারপরও মানুষজন আসছে। ঈদের দিন দর্শনার্থীরা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকতে চেয়েছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ডাকতে হয়েছিল। সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত জাতীয় চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকবে।
এসআর/এইচকে