খাবার তৈরিতে একই তেল বারবার ব্যবহারে ট্রান্সফ্যাট তৈরি হয়, যা হৃদরোগ ঝুঁকি বাড়ায়। তাই হার্ট সুস্থ রাখতে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে  স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং সুস্থ জীবন-যাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।

বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে রোববার (১৬ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়। সোমবার (১৭ মে) বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস।

এক প্রতিক্রিয়ায় প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, আমাদের দেশে অসংক্রামক রোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট নির্মূল নিঃসন্দেহে সরকারের জন্য একটি ব্যয় সাশ্রয়ী পদক্ষেপ। এটি একদিকে যেমন অসংক্রামক রোগের প্রকোপ কমাবে, অন্যদিকে সরকারের স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় কমাতে ভূমিকা রাখবে।
 
প্রজ্ঞা বলছে, উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। সর্বশেষ প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে ২০১৭-১৮’ এর হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রতি ৪ জনে ১ জন উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছেন। হার্ট সুস্থ রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং সুস্থ জীবন-যাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। এক্ষেত্রে খাদ্যদ্রব্য থেকে ট্রান্সফ্যাট নামক বিষাক্ত কেমিক্যাল নির্মূল হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ট্রান্স ফ্যাটি এসিড (টিএফএ) বা ট্রান্সফ্যাট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর একটি খাদ্য উপাদান। ডালডা বা বনস্পতি ঘি এবং এটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার ও বেকারি পণ্যে ট্রান্সফ্যাট থাকে। এছাড়াও ভাজা-পোড়া খাবার তৈরিতে একই তেল বারবার ব্যবহার করলে ট্রান্সফ্যাট তৈরি হয়, যা হৃদরোগ ঝুঁকি বাড়ায়। 

বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস উপলক্ষে খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে খসড়া ‘খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা, ২০২১’ অতিসত্ত্বর চূড়ান্ত এবং বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে প্রজ্ঞা।

হৃদরোগজনিত অকাল মৃত্যু ঝুঁকি হ্রাস করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ থেকে শিল্প উৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাট নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ট্রান্সফ্যাট মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে খসড়া ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ প্রবিধানমালা চূড়ান্তকরণে কাজ করছে।

আরএম/জেডএস