সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, তাকে হেনস্তাকারীদের গ্রেফতার ও কালো আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে গণফোরাম। 

শনিবার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রোজিনা ইসলাম একজন স্বনামধন্য পেশাদার সাংবাদিক। তাকে হেনস্তা ও কারাবন্দি করার মধ্য দিয়ে সরকার সাংবাদিক ও প্রতিবাদী মুখ বন্ধ করার চক্রান্ত করছে। জবাবদিহিহীন আমলানির্ভর এ সরকারের স্বাস্থ্য, আইসিটি, অর্থ, শিক্ষা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সব জায়গায় লাগামহীন দুর্নীতির চিত্র সংবাদপত্র ও গণমাধ্যমে ভেসে উঠছে। দুর্নীতির তদন্ত হয় না। দেশের সম্পদ লুণ্ঠন ও ভাগাভাগি হচ্ছে। অনতিবিলম্বে দুর্নীতিবাজ আমলা ও তার সহযোগী রাজনীতিবিদ আশ্রয়দাতাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হোক।

বক্তারা আরও বলেন, বিচার ব্যবস্থাকে কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। রোজিনার জামিন না দিয়ে তাকে জেলখানায় হেনস্তা ও নির্যাতন করা হচ্ছে। মন্ত্রীরা বলে বেড়াচ্ছেন রোজিনা সুষ্ঠু বিচার পাবে। কিন্তু আমরা শুনেছি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সাংবাদিক রোজিনাকে থানা ও জেলহাজতে চিহ্নিত কুখ্যাত আসামিদের সঙ্গে রেখে তার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। বিচারককে প্রভাবিত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

নেতারা আরও বলেন, সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ার কন্ঠরোধ করার চক্রান্ত চলছে। রোজিনার মুক্তির দাবিতে সাংবাদিকদের সর্বাত্মক আন্দোলনের প্রতি আমরা সমর্থন জানাই। এ ঐক্য ভাঙার চক্রান্ত চলছে। সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। করোনাকালে লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হলেও সাংবাদিকদের নাম মাত্র দশ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। যা হাজার হাজার সাংবাদিকের সঙ্গে তামাশা করার সামিল।

গণফোরামের মুখপাত্র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, মেজর (অব.) আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

এমএইচএন/জেডএস