১৯টি মামলা রয়েছে অভিযুক্ত কাজল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে

স্বামী মাইনুল ইসলাম ওরফে কাজল ভূঁইয়া ১৯ মামলার আসামি। এর মধ্যে তিনটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাও ছিল। এসব মামলায় ধরা না দিয়ে ফেরারি জীবন যাপন করছিলেন তিনি। গত ১৩ মে আখাউড়ায় নিজ বাড়িতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যা করে কাজল।

এ ঘটনার পর থেকে দেশ ছেড়ে পালাতে জাফলং সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। ২৩ মে রাতে মাইনুল ইসলাম ওরফে কাজল ভূঁইয়াকে (৪৭) বাংলাদেশ-ভারত জাফলং সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির চট্টগ্রাম জোনের কর্মকর্তারা বলছেন, কাজল স্বীকৃত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অধিকাংশ মামলা মাদক সংশ্লিষ্ট। তার মাদকের কারবার মেনে নিতে পারেননি স্ত্রী ডলি। সেটাই কাল হয়েছিল।

সোমবার (২৪ মে) দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির ডিআইজি (চট্টগ্রাম জোন) হাবিবুর রহমান বলেন, স্ত্রী ডলি মারা যাওয়ার পর কাজল ভূঁইয়া আত্মগোপনে চলে যান। এ ঘটনায় নিহত ডলির ভাই বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সদর দফতর সিআইডি একযোগে তদন্ত শুরু করে। ২৩ মে কাজলকে বাংলাদেশ-ভারত জাফলং সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি।

হত্যার কারণ সম্পর্কে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, কাজলের সঙ্গে তার স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিল না। হত্যাকাণ্ডের ওই দিন রাত ৩টার দিকে বাড়িতে আসলে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল থেকে বোতলে করে পেট্রোল এনে স্ত্রীর শরীরে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে তার স্ত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিলে ১৮ মে তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, সামাজিক অবক্ষয় ও পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। কাজল একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ১৩টি মাদক মামলাসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। আখাউড়া থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

জেইউ/এসকেডি