ডিআরইউর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কেক কাটছেন তথ্যমন্ত্রী

করোনাকালে সাংবাদিকদের জন্য সরকারের সহায়তা বিশ্বে এক অনন্য দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

বুধবার (২৬ মে) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ডিআরইউর সব সদস্যের প্রতি অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রী প্রায় দুই হাজার সাংবাদিকের এ বৃহৎ সংগঠনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন। 

গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সরকারের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই সাংবাদিকদের কল্যাণে আইন প্রণয়ন করে ট্রাস্ট গঠন করেছে। করোনাকালে এই সরকার সাংবাদিকদের যেভাবে সহায়তা করেছে, অন্য কোনো দেশে তা করা হয়নি।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে বেসরকারি পর্যায়ে টেলিভিশন ও বেতারের যাত্রা শুরুর কথা স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার দেশ পরিচালনায় গণমাধ্যমের যেমন যুগান্তকারী বিকাশ ঘটেছে, তেমনি কেউ কেউ স্বীকার না করলেও সত্যটা হলো, বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। এর সঙ্গে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার যে চাহিদা বেড়েছে, তা পূরণে ডিআরইউসহ সব গণমাধ্যম সংগঠনকে সাংবাদিক প্রশিক্ষণের ওপর জোর গুরুত্ব দিতে হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান ও কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউয়িনের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির বর্তমান ও সাবেক নেতারা।

উপস্থিত সবাই সংগঠনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন। সভা শেষে ড. হাছান মাহমুদ কেক কাটায়  অংশ নেন।

এইউএ/আরএইচ