র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযানে মাদক ও অস্ত্র পাওয়ার ভিত্তিতেই মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে র‍্যাব সেবা সপ্তাহ রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

র‍্যাব ডিজি বলেন, আমরা আমাদের অভিযান সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালনা করেছি। অভিযানে যে সকল জিনিস আমরা পেয়েছি তার ভিত্তিতে অস্ত্র আইনে মামলা করেছি। এরপরে ঘটনাস্থলে যা পেয়েছি তা তদন্ত করে মামলা করেছি।

তিনি আরও বলেন, পরে পুলিশ তদন্ত করে যা পেয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন দাখিল করে। এটা এখন আদালতের বিচারিক বিষয়। বিচারিক বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না।

এর আগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ডিএমপির লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কুদরত-ই খুদা বলেন, ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে ইরফান সেলিমের কাছে কোনো অস্ত্র ও মাদক ছিল না। তার সহযোগী জাহিদের কাছ থেকে এই অস্ত্র ও মাদক পাওয়া গেছে। তাই প্রতিবেদনে তাকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে। 

গত ২৭ অক্টোবর রাতে ডিএমপির চকবাজার থানায় দায়ের হওয়া দুই মামলার বাদী ছিল র‌্যাব। মামলা হওয়ার দুই মাস পরে পুলিশ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

উল্লেখ, গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম খানকে মারধর করেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়িতে থাকা লোকজন। পরদিন ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নৌবাহিনীর কর্মকর্তা। মামলায় মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী জাহিদ, মদীনা ডেভেলপারসের প্রটকল কর্মকর্তা এবি সিদ্দিক ও গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা তিন জনকে আসামি করা হয়।

পরে ২৬ অক্টোবর দুপুরে র‌্যাব পুরান ঢাকায় চকবাজারের ২৬ দেবীদাস লেনে হাজি সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। র‌্যাব ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুই জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। পরে মাদক ও অস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে দুটি করে মোট চারটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব।

এমএসি/এইচকে