একদিকে কওমি মাদরাসা উন্মুক্ত ও অনলাইনে ধনিক শ্রেণির শিক্ষা অর্জন, অন্যদিকে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কিছুই শিখছেন না। তাহলে কীভাবে আমরা এগিয়ে যাবো। এই বৈষম্যের লাগাম কীভাবে টানবেন?

রোববার (৬ জুন) নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘জাতীয় বাজেট ২০২১-২২: পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কী আছে’ শীর্ষক সংলাপে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কনভেনর ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য। সেখানে যুক্ত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ বিশিষ্টরা।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আমরা শিক্ষাখাতে চমক আশা করিনি। তবে আশা করেছিলাম শিক্ষা খাত যে বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা থাকবে প্রস্তাবিত বাজেটে। সেটা দেখিনি। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে শিক্ষা খাতে কোনো বিশেষ নজরদারি দেখলাম না বাজেটে।

তিনি বলেন, আমরা কি ধরে নিয়েছি যে শিক্ষা খাত ভালো চলছে। নতুন করে করার কিছু নেই? ৪ কোটি শিক্ষার্থীসহ শিক্ষার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৮ কোটি জনগোষ্ঠীর জন্য বাজেটে কিছু দেখতে পেলাম না। বিপর্যস্ত শিক্ষা খাত পুনরুদ্ধারে বাজেটের কোথাও কিছু বলা হয়নি, কেন বলা হয়নি, আমি জানতে চাই ?

নীতিনির্ধারকেদের কাছে প্রশ্ন উপস্থাপন করে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, অর্ধশিক্ষিত ও অর্ধস্বাক্ষর জনগোষ্ঠী নিয়ে কীভাবে এসডিজি অর্জন করবেন। অন্যদিকে আছে শিক্ষা অর্জনের বৈষম্য। একদিকে উন্মুক্ত কওমি মাদরাসা ও অনলাইনে ধনিক শ্রেণির শিক্ষা অর্জন অন্যদিকে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কিছুই শিখছেন না। তাহলে কিভাবে আমরা এগিয়ে যাবে, সে বিষয়ে বাজেটে কিছুই বলা নেই। এই বৈষম্যের লাগাম কীভাবে টানবো। আর একটি বিষয় হলো, ৬০ হাজার নন-এমপিও শিক্ষক রয়েছেন, তাদের বিষয়ে বাজেটে সুর্নিদিষ্ট কিছু বলা হয়নি। তাদের বিষয়টি ভুলে গেলে চলবে না। তারা যদি পথে বসে যান, তাহলে ভবিষ্যতে আমরা শিক্ষক সংকটে পড়বো।  

আরএম/এসএম