প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ানো ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের (মিউকরমাইকোসিস) চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রোববার (৬ জুন) দুপুরে বিএসএমএমইউয়ের ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশ অকুলোপ্লাস্টি সার্জনস সোসাইটির উদ্যোগে আয়োজিত সিম্পোজিয়ামে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসার জন্য এরইমধ্যে চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ, কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগ, নাক কান ও গলা বিভাগ, নিউরোসার্জারি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে একটি কর্নার চালু করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে দু'একজন রোগী ছাড়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি এবং এই রোগে বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত কোনো রোগী মারা যায়নি।

তাই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে আমরা আতঙ্কিত হব না, সচেতন হব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোগটিকে প্রতিরোধ করব, যোগ করেন তিনি।

সিম্পোজিয়ামে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং অনুষদের ডিন নিউরোসার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. গোলাম হায়দার, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক, কান ও গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. শেখ হাসানুর রহমান।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জাফর খালেদ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. তারিক রেজা আলী, কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শওকত কবীর, কনসালট্যান্ট ডা. নিরুপম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অটোমেশন কার্যক্রম জোরদারের আহ্বান

এর আগে একইস্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অটোমেশন কার্যক্রমের সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন আইটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট আপডেট করা, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আউটডোর পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও রোগীদের ডাটাবেজ তৈরি ও সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং অটোমেশন কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানান।

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন তার বক্তব্যে অটোমেশন কার্যক্রমের আওতায় ইনডোর পেশেন্ট সাপোর্ট সিস্টেম, স্টুডেন্টস সাপোর্ট সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। এসময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম আখতারুজ্জামানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন নিলেন ২৫৯ জন

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে আজ মোট ২৫৯ জন কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪৪ হাজার ৭শ ৭১ জন। এছাড়াও বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭শ ৮২ জনের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়েছে। বেতার ভবনের ফিভার ক্লিনিকে আজ পর্যন্ত ৯৮ হাজার ৮শ ৫৮ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন।

টিআই/জেডএস