বাজেটে কৃষিখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের দাবি
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির বিক্ষোভ সমাবেশ
বাজেটে কৃষিখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়াসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি। সোমবার (৭ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমিতিটি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানায়।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- কৃষকসহ গ্রামীণ শ্রমজীবীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান; করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও বজ্রপাতে নিহত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান; প্রান্তিক কৃষক ও গ্রামীণ মজুরদের ব্যাংকসহ এনজিও ক্ষুদ্রঋণ মওকুফ করা; প্রকৃত কৃষকের তালিকা হালনাগাদ করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও কৃষি কার্য প্রদান; লটারি সিস্টেম বন্ধ করে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়; ইউনিয়ন পর্যায়ে অস্থায়ী ধানের গুদাম নির্মাণ ও সরকারি ক্রয়কেন্দ্র চালু করা; ধান ও গম বিক্রির টাকা কৃষকদের নগদ পরিশোধ করা; মোট উৎপাদনের ২০ শতাংশ ধান সরকারিভাবে ক্রয় করা এবং লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও কৃষি জমি, ঘরবাড়ি, গবাদিপশু রক্ষায় স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যাদের শ্রম এবং ঘামের উপর এবং করোনার মধ্যেও দেশের খাদ্য ভাণ্ডার সমৃদ্ধ ছিল, এই বাজেটে সেই জাতীয় বীর কৃষকদের অবদানের কোনো প্রকৃত স্বীকৃতি নেই। দেশের সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থানের খাত কৃষি, সরকারের আর্থিক নীতিতে ব্যক্তিখাতকে প্রাধান্যের কথা বলা হলেও বাজেটে তার কোনো প্রতিফলন নেই।
তারা আরও বলেন, বজ্রপাত এখন কৃষকের জন্য এক ভয়ানক বিপদ হিসেবে দেখা দিয়েছে। যতোটা উদ্যোগী হয়ে এই সমস্যার সমাধান দরকার, সরকার ততোটা উদ্যোগী হচ্ছে না। গুটি কয়েক ব্যক্তিকে অধিক সম্পদশালী করা সরকারের অর্থনৈতিক নীতির মূল লক্ষ্য। দেশের কৃষি এখন টিকে আছে বিশ্বব্যাংক, এডিবি চক্রের নির্দেশিত পথে ও সরকারের দয়ার ওপর।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কৃষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নিমাই গাঙ্গুলী, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন, সুকান্ত শফি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য শরীফুজ্জামান শরিফ, লাকি আক্তার ও মোবারক হোসেন ঝণ্টু প্রমুখ।
এমএইচএন/এমএইচএস