নাগরিক সেবা দেওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ এবং এর গুণগতমান বাড়ানোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবার দায়বদ্ধতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ৯টি উদ্ভাবনী উদ্যোগ/সেবা সহজ করার প্রস্তাব বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। 

সোমবার (৭ জুন) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বার্ষিক উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে উদ্ভাবন প্রদর্শনী’ শীর্ষক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, যুগ্মসচিব (প্রশাসন) ড. মো. আশফাকুল ইসলাম বাবুল, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, অধীন অধিদফতর/সংস্থা প্রধানরা এবং ইনোভেশন টিমের সদস্যরা।

এসব উদ্ভাবনী উদ্যোগের ফলে পরিবেশ অধিদফতরের পরিবেশগত ছাড়পত্র স্বল্পসময়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘অনলাইন পেমেন্ট ইন ইসিসি’ অটোমেশন সফ্টওয়্যারে ইলেকট্রনিক ট্রেজারি চালান ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে ফি পরিশোধের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। সেবা গ্রহীতারা সোনালী ব্যাংক বা বিভিন্ন ধরনের কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজেই ফি পরিশোধ করতে পারবেন। বন বিভাগ বাস্তবায়নাধীন ‘সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের লভ্যাংশ বিতরণে ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি’ প্রক্রিয়ায় স্বল্প সময়ে জনগণকে লভ্যাংশ পাওয়ার সংবাদ মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে জানানো যাবে এবং প্রদেয় টাকা অনলাইনে উপকারভোগীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট এর ‘মোবাইল অ্যাপস ও বনজ বৃক্ষের পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাই দমন’ কার্যক্রমের মাধ্যমে বনজ নার্সারি, বাগান বা বন রোগ-বালাই বা পোকা-মাকড়ের মাধ্যমে আক্রান্ত হলে উদ্ভাবিত অ্যাপস ব্যবহার করে সেবা গ্রহীতারা তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিকার বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন ‘রাবার বিক্রয়করণ প্রক্রিয়া সহজীকরণ’ এর মাধ্যমে ক্রেতাদের চাহিদা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুণগত মানসম্পন্ন রাবার সঠিক সময়ে বিক্রির মাধ্যমে রাবার সেক্টরের লোকসান কমে আসবে।

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড ‘প্রকল্পের কার্যক্রম বিষয়ে ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি’র মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও  ডিজিটাল পদ্ধতিতে মনিটরিং করা যাবে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল হার্বেরিয়াম ‘মোবাইল অ্যাপস এর মাধ্যমে উদ্ভিদ নমুনা শনাক্তকরণ’ প্রক্রিয়ায় মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে আবেদনকারী কাঙ্ক্ষিত তথ্য জানাতে পারবে। এক্ষেত্রে সিস্টেম ড্যাশ বোর্ডের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবা, সেবা গ্রহীতা ও সেবা প্রদানকারীর বিভিন্ন তথ্য মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ‘মামলা ব্যবস্থাপনা সহজীকরণ’ সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এর ফলে মামলাগুলো দ্রুত নিস্পত্তির কার্যক্রম এবং সলিসিটর উইং ও অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা, মামলার রিপোর্ট তৈরি এবং সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশনা দেওয়া সহজ হবে। ‘আবেদন/আপিল নিষ্পত্তি সহজীকরণ প্রক্রিয়ায়’ মন্ত্রণালয়ে আপিলকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সময় ও খরচ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আপিল আবেদন অনলাইনে সম্পন্নের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও কাজের গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে স্বল্পসময়ে ‘মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে অফিস স্টেশনারি সরবরাহ’ এর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

এমএইচএন/জেডএস