নিহত ব্যবসায়ী আহসান হাবিব

সাভারের ব্যবসায়ী আহসান হাবিবের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করেছে সিআইডি। সিআইডি বলছে, নুরুন নবী রনি (২৭) নামে একজনের কাছে ২০ লাখ টাকা পেতেন আহসান। এই পাওনা টাকা চাওয়ার জেরে তাকে খুন করা হয়।

রনিকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

তিনি বলেন, ৭ মে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের হরিণহাটি এলাকার একটি বাসার নিচ তলায় অগ্নিদগ্ধ হন আহসান হাবিব। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ব্যক্তিরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে নিয়ে যান। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহসান হাবিব হাসপাতালে মারা যান।

আহসান হাবিবের মৃত্যুর পর গ্রেফতার হন নুরুন নবী রনি

মুক্তা ধর আরও বলেন, নুরুন নবীর কাছে আহসান হাবিব ২০ লাখ টাকা পেতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে রনি তার আরও তিনজন সহযোগীকে নিয়ে আহসান হাবিবকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন, তারপর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।

সাভারের বিভিন্ন দোকানে বাকিতে গার্মেন্ট পণ্য বিক্রি করতেন আহসান হাবিব। ৭ মে সন্ধ্যায় সেসব দোকান থেকে পাওনা টাকা আদায়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। ৮ মে সাভার থানায় হাবিব নিখোঁজ হওয়ার তথ্য জানিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

আহসান হাবিবের মৃত্যুর বিষয়ে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সিআইডি কর্মকর্তারা

নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহসান হাবীবের লাশ পায় তার পরিবার। এরপর জানা যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গত ৮ মে মারা যান তিনি। তবে মৃত্যুর পর প্রথমদিকে তার পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। পরে পরিচয় মেলে এবং পুলিশ তার মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করে। 

ওই ঘটনার ছায়া তদন্ত করে আসছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

জেইউ/এনএফ/জেএস