দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারলে উন্নয়নের জন্য বিদেশি ঋণের প্রয়োজন হবে না বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। 

বুধবার (৯ জুন) রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের মিলনায়তনে আয়োজিত ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক কর্মকাণ্ড নিরীক্ষার জন্য নিয়োজিত নিরীক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আমরা যদি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে ক্ষমতায়ন করে জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার আওতায় আনতে পারি, আয়বর্ধক হিসেবে গড়ে তুলে আত্মনির্ভরশীলতার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার ব্যবস্থা করা যায় তাহলে দেশের উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন সহযোগী দেশ বা প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক থেকে লোন নিতে হবে না। 

ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে রুট লেভেলে কাজ করে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির পরিধি অনেক বেশি এবং প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের সঙ্গে তাদের সংযোগ থাকে। তাই যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাক, দুঃসময় ও আপদে-বিপদে সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে পাশে থাকে ইউনিয়ন পরিষদ। 

তাজুল ইসলাম জানান, পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় আমাদের মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি। যে জাতি যত উন্নত-সমৃদ্ধ হবে সে দেশের নাগরিকরাও তত উন্নত হবে। বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যাকে যদি সম্পদের রূপান্তর করা যায় এবং আমরা যদি আমাদের ওপর অর্পিত স্ব স্ব দায়িত্ব দেশপ্রেম ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে পালন করি তাহলে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে। 

নিয়োগপ্রাপ্ত সব অডিটরদের সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা মাঠে এ দায়িত্ব পালন করবেন তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে কোন সুপারিশ করলে সে সুপারিশগুলো আমলে নিয়ে পরে নীতিমালা প্রণয়নের সময় সংযোজন করা হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে অডিট করার মাধ্যমে যেমন স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা আসবে তেমনি ভাবে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সমাজে অবদান রাখার সুযোগ তৈরি হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরু। এছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রকল্প পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
 
স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ইনিস্টিটিউট অফ চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) যৌথ আয়োজনে কর্মশালায় ১৫০ জনের বেশি অডিটর অংশ নেন।

এসএইচআর/এসএম