সামনে দোহার প্রেসক্লাব, ডানে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বামে উপজেলা পরিষদ, মাঝখানে ময়লার ভাগাড়/ছবিটি দোহার পৌরসভার জয়পাড়া এলাকা থেকে তোলা।

ঢাকার দোহার পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়াতে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপজেলা পরিষদের মাঝামাঝি স্থানে রাস্তাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে বর্জ্য। এতে সৃষ্টি হয়েছে ময়লার ভাগাড়। সামনেই দোহার প্রেসক্লাবে যাওয়ার প্রধান সড়ক। ময়লার ভাগাড়টি পরিবেশ দূষণসহ মানুষের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির কারখানায় পরিণত হয়েছে। এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষের চলাচল থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পরেন পথচারীরা। 

স্থানীয়রা জানান সরকারী হাসপাতালের পাশে প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে এভাবেই পরে রয়েছে ময়লার স্তুপ। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতায় রাস্তাটি মানুষের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ব্যাপক স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। 

এছাড়া জয়পাড়া বাজার বড় ব্রিজের দু’পাশে দোহার উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকের বর্জ্য, বাজারের ময়লা, আবর্জনা ফেলে জয়পাড়া খাল ভরাট করার প্রতিযোগিতা চলছে। এসব ময়লা-আবর্জনা পঁচে সৃষ্টি হচ্ছে দুর্গন্ধ। কিছু কিছু স্থানে নাক চেপে ধরে যেতে হয় পথচারীদের। দীর্ঘদিনেও এসব ময়লার ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে না নেওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

এ বিষয়ে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জসিমউদ্দিন বলেন, এটা জয়পাড়া বাজারে চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ও আশেপাশের দোকানিদের ময়লা। আমাদের হাসপাতালে যে ময়লা আছে সেগুলো আমরা আমাদের ডাস্টবিনে রাখি। এমন পরিবেশ কাম্য নয়। আমরা এর প্রতিকার চাই।  

বেশ কয়েকটি ক্লিনিকের পরিচালকরা জানান, তাদের ক্লিনিকের ময়লা পৌরসভার লোকজন এসে সকালে নিয়ে যায়। এরপর তারা কোথায় ফেলে বা কী করে সে বিষয় হাসপাতাল কিছুই জানে না। 

এ বিষয়ে দোহার পৌরসভার প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান, ক্লিনিকের বর্জ্যের ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো দায়িত্ব নেই, সেটা হেলথ ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব। এছাড়া পৌরসভা আওতাধীন সাধারণ বর্জ্য আমরা মেইনটেন করি। এখনও আমরা সরকারিভাবে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট জমি পাইনি। তবে ভূমি অফিস থেকে পৌর কর্তৃপক্ষকে কাজিরচর এলাকায় একটি জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে।

এইচকে