বাবুল আক্তারকে নেওয়া হচ্ছে কারাগারে/ ফাইল ছবি

মাহমুদা খানম মিতু ও সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৩ জুন) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাইকে এ আদেশ দিয়েছেন। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম মহানগরের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। 

তিনি বলেন, মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হিসেবে বাবুল আক্তারের ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহির (১২) ও মেয়ে তাবাসসুম (৭)। তাই এ দুজনের সঙ্গে কথা বলা জরুরি। কিন্তু বাবুল আক্তারের পরিবারের সদস্যদের বারবার বলার পরও তারা তাদের হাজির করেননি। 

তিনি আরও বলেন, পরিবারের সদস্যরা বাবুল আক্তারের ছেলে ও মেয়েকে লুকিয়ে রেখেছে। এ অবস্থায় তাদেরকে আমাদের কাছে হাজির করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। বাবুল আক্তারের বাবা আবদুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই হাবিবুর রহমান লাভুকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে  মাহির ও তাবাসুমকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম (মিতু)। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
 
জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন তিনি। তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। এক পর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী বাবুল আক্তারের নাম। তদন্তে তার বিরুদ্ধেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার (১১ মে) ডেকে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

পরে ১২ মে বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। রিমান্ড শেষে প্রথমে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলেও পরে জবানবন্দি দেননি বাবুল। তারপর তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ফেনী কারাগারে রয়েছেন।

কেএম/আরএইচ