জিরানী খাল থেকে বর্জ্য উত্তোলন কার্যক্রম শুরু
বর্জ্য উত্তোলন কার্যক্রম
জিরানী খালের নন্দীপাড়ার ত্রিমোহনী অংশে ড্রেজারের মাধ্যমে বর্জ্য উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুর থেকে খালের নন্দীপাড়ার ত্রিমোহনী অংশে এক্সকাভেটর-যন্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে বর্জ্য উত্তোলন ও অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের।
বিজ্ঞাপন
খাল ও বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য উত্তোলন ও অপসারণ কার্যক্রম প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে আমরা পুরোদমে কাজ করে চলেছি। তবে একটি বিষয় আমাদের নজরে এসেছে, খাল ও বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য উত্তোলন ও অপসারণ সব জায়গায় একই নয়, ভিন্নতা রয়েছে। পান্থপথ বক্স কালভার্টে এক ধরনের বর্জ্য আর সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট আরেক ধরনের বর্জ্য অপসারণ করতে হচ্ছে। এছাড়াও বক্স কালভার্টের আপ-স্ট্রিম ও ডাউন-স্ট্রিমে ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির বর্জ্য রয়েছে। আমাদের এই কার্যক্রম পুরোমাত্রায় চলমান রয়েছে। এই এক সপ্তাহের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা তা পর্যালোচনা করে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।
চলমান কার্যক্রম নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে ডিএসসিসির মেয়রের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্যামপুর, জিরানী ও মান্ডা খাল এবং পান্থপথ ও সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণ ও উত্তোলন করতে গিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছি। যেমন বলা যায়, পান্থপথ বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণ করতে গিয়ে কালভার্টের ভেতরে আমরা ৫ থেকে ১০ পুরুত্বের পচনশীল বর্জ্যের স্তর দেখতে পেয়েছি। মাটি ও বালির সমন্বয়ে গঠিত এ ধরনের বর্জ্য দীর্ঘসময় পুঞ্জিভূত থাকার কারণে সৃষ্টি হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি। তাই এ কার্যক্রমটা বেশ জটিল ও দুরূহ। কিন্তু তারপরও এই কার্যক্রম করতে আমরা অব্যাহতভাবে প্রয়োজনীয় সব কার্যকর উদ্যোগ নেব।
বিজ্ঞাপন
এএসএস/জেডএস