দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, আমি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাবো, যে রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। এই যে বৃহত্তর ঐক্য বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছে। অন্তত রাষ্ট্রের স্বার্থে এই ঐক্য আপনারা দয়া করে ধরে রাখুন।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হলো বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি। এই তিনটি দলই দেশপ্রেমিক শক্তি, যারা এক হয়ে শেখ হাসিনা ও ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদকে পরাজিত করেছে। কাজেই তাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের ভূমিকা ও নির্বাসন থেকে দেখা হাসিনার ফ্যাসিবাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধিতায় কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ কিংবা জাতীয় পার্টি– যেই মুখেই ফ্যাসিবাদ আসুক না কেন, তা প্রতিহত করতে হবে।

জাতীয় পার্টিকে ফ্যাসিবাদের সহযোগী দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরশাদ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা বারবার নির্বাচনকে তামাশায় পরিণত করেছে। চট্টগ্রামেও জাতীয় পার্টির নেতারা ফ্যাসিবাদকে সহায়তা করেছে।

মাহমুদুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকুক, সরকার-বিরোধী দল থাকুক, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু রাষ্ট্রের দু’টি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে– ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এবং ভারতীয় হেজিমনির বিরুদ্ধে।

তিনি আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদ আখ্যা দিয়ে বলেন, তারা সাংস্কৃতিক ফ্যাসিস্ট শক্তি তৈরি করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে মিডিয়ার বড় অংশ ভারতীয় হেজিমনি ও সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদের প্রভাবে ছিল। শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে সেটি চূড়ান্ত রূপ পেয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন– চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরি।

এমআর/বিআরইউ