পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কাজ করবে ডিএসসিসি
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আসন্ন কোরবানি ঈদে পশুর হাটগুলো যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হয় তার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
তিনি বলেছেন, ডিএসসিসি এলাকায় ১৩টি হাট বসানো হচ্ছে। এই হাটগুলোতে যেন স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় সেই বিষয়ে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এজন্য হাটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেবে ডিএসসিসি।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ডিএসসিসির ২৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে এই ওয়ার্ডে একটি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন উদ্বোধন করেন তাপস।
মেয়র তাপস বলেন, নতুন ওয়ার্ডগুলোকে ঘিরে আমারা ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এসব ওয়ার্ডগুলো উন্নয়নের মাধ্যমে নাগরিকের সেবা নিশ্চিত করা হবে। সেখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সার্বিক উন্নয়নের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ পরিচালিত হবে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আযহা সামনে রেখে ১৩টি অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসসিসি। এছাড়া দক্ষিণ সিটির স্থায়ী পশুর হাট হিসেবে সারুলিয়া হাটেও পাওয়া যাবে কোরবানির পশু।
অস্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে : উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেল গেট বাজারের মৈত্রী ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গায় বসতে যাওয়া হাটের ইজারা পত্রে সরকারি মূল্য ধরা হয়েছে ৯০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এর সঙ্গে শিডিউল মূল্য রয়েছে ১৮ হাজার ৮০০ এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৫৩ হাজার ১৫০ টাকা। একইভাবে ইনস্টিটিউট অফ লেদার টেকনোলজি কলেজ সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকার হাটের সরকারি মূল্য এক কোটি ৪৩ লাখ ৬৮ হাজার ৮৮৯ টাকা, পাশাপাশি শিডিউল মূল্য ২৯ হাজার ৪০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৭ লাখ ১৮ হাজার ৪৪৫ টাকা। পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য ৭৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, পাশাপাশি শিডিউল মূল্য ১৫ হাজার ৬০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৬৫০ টাকা।
এছাড়া মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য এক কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার ৩০০ টাকা, পাশাপাশি শিডিউল মূল্য ৩০ হাজার ৪০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৫০ টাকা। লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গা ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য দুই কোটি ৬৭ লাখ ১২ হাজার টাকা, পাশাপাশি শিডিউল মূল্য ৫৪ হাজার ২০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার ৬৫০ টাকা। দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য দুই কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, পাশাপাশি শিডিউল মূল্য ৪৭ হাজার ৪০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ১১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
অন্যদিকে ধুপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, পাশাপাশি শিডিউল মূল্য ২০ হাজার ৪০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৪ লাখ ৯২ হাজার ৯০০ টাকা। ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকায় হাটের সরকারি মূল্য এক কোটি ৬৪ লাখ ৩৫ হাজার ৩০০ টাকা, পাশাপাশি শিডিউল মূল্য ৩৩ হাজার ৬০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৮ লাখ ২১ হাজার ৭৬৫ টাকা। আফতাব নগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন ১ ও ২ এর খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য এক কোটি ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকা, পাশাপাশি শিডিউল মূল্য ২৪ হাজার টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯০ টাকা। আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য ২১ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা, পাশাপাশি শিডিউল মূল্য ৫ হাজার টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি এক লাখ ৭ হাজার ৩২৬ টাকা।
বাকি হাটগুলোর মধ্যে রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য ২৬ লাখ ৬০ হাজার ৬০০ টাকা, পাশাপাশি শিডিউল মূল্য ৬ হাজার টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি এক লাখ ৩৩ হাজার ৩০ টাকা। শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য এক কোটি ৪০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, পাশাপাশি শিডিউল মূল্য ২৮ হাজার ৮০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৭ লাখ ৪ হাজার ৯০০ টাকা। গোলাপবাগের ডিএসসিসি মার্কেটের পেছনের খালি জায়গার হাটের সরকারি মূল্য ৬৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৬০ টাকা, পাশাপাশি শিডিউল মূল্য ১৩ হাজার ৮০০ টাকা এবং পরিচ্ছন্নতা ফি ৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ টাকা।
এএসএস/এমএইচএস