দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসের দুজন উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসারকে লঘুদণ্ড দিয়েছে সরকার। ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।

লঘুদণ্ডপ্রাপ্তদের একজন হলেন- নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার উদয় চন্দ্র চাকমা। এর আগে তিনি সাভারের উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ছিলেন।

ঢাকা জোনের সাভার উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় সাভারের ১০৬ নম্বর মিরেরটেক মৌজার আর. এস ১২৫, ১২৬, ১২৮, ১৩৩ ও ১৪২ নম্বর দাগের জমি অর্পিত সম্পত্তি 'ক' তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও খানাপুরি কাম বুঝারত (ভূমি জরিপ ও রেকর্ড সংক্রান্ত আইনি পরিভাষা) চূড়ান্ত যাচাইকালে তদারককারী কর্মকর্তা হিসেবে ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড প্রদান করে বিধি বহির্ভূত কাজ করেছেন। 

তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

লঘুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর ব্যক্তি হলেন- কেরানীগঞ্জের উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (সাভারের উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের সাবেক সার্ভেয়ার) মো. হারুনুর রশিদ। তিনি ঢাকা জোনের সাভার উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে কর্মরত থাকা অবস্থায় সাভারের ১০৬ নম্বর মিরেরটেক মৌজার আর.এস ১২৫, ১২৬, ১২৮, ১৩৩ ও ১৪২ নম্বর দাগের জমি অর্পিত সম্পত্তি 'ক' তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও খানাপুরি কাম বুঝারত স্তরে সার্ভেয়ার হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড প্রদান করেন।

অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অবশিষ্ট চাকরিকালের জন্য বেতন গ্রেডের প্রারম্ভিক ধাপে অবনতিকরণের লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে টাঙ্গাইলের সদর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের খারিজ সহকারী (ভারপ্রাপ্ত পেশকার) মো. আব্দুল বাছেদকে অবশিষ্ট চাকরিকালের জন্য নিয়োগকালীন বেতন গ্রেডে অবনতিকরণ গুরুদণ্ড দেওয়া হয়। এর আগে তিনি টাঙ্গাইলের কালিহাতীর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের ভারপ্রাপ্ত পেশকার ছিলেন।

পরে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ে আপিল করেন। পর্যালোচনায় তাকে দেওয়া শাস্তি মাত্রাতিরিক্ত হয়েছে বলে বিবেচিত হয়। শেষে ভূমি মন্ত্রণালয় তার অবশিষ্ট চাকরিকালের জন্য তার বেতন একটি নিম্ন ধাপে কমানোর শাস্তি দিয়েছে।

একইভাবে পঞ্চগড়ের অটোয়ারী উপজেলা ভূমি অফিসের ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী (পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রাজস্ব শাখায় সংযুক্ত) মো. আব্দুর রশিদকে দুর্নীতির জন্য দুই বছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার লঘুদণ্ড দিয়েছিল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়। তিনিও ভূমি মন্ত্রণালয়ে আপিল করেছিলেন। 

পর্যালোচনায় তাকে দেওয়া শাস্তিও মাত্রাতিরিক্ত হয়েছে বলে জানায় ভূমি মন্ত্রণালয়। শেষে ভূমি মন্ত্রণালয় তার অবশিষ্ট চাকরিকালের জন্য তার বেতন একটি নিম্ন ধাপে কমানোর শাস্তি দিয়েছে। এতে এক বছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখার লঘুদণ্ড দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

এসএইচআর/এমজে