প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য গঠিত বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে আড়াই হাজার শ্রমিক ও তাদের স্বজনকে সহায়তা দেওয়া হবে। মৃত্যুজনিত ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তার হিসেবে প্রায় ৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।

সোমবার (২১ জুন) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলের ২৩তম বোর্ড সভায় দুই হাজার ৫৩১টি আবেদনে সহায়তার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

জানা যায়, শ্রম আইনের আলোকে গঠিত বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলিয়ে ২০৩টি কোম্পানি লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ থেকে সাড়ে পাঁচশ কোটি টাকা জমা দিয়েছে।

গত অক্টোবর থেকে মে পর্যন্ত এ তহবিল থেকে সহায়তার জন্য ১৩৮ জন শ্রমিকের পরিবার মৃত্যুজনিত কারণে, চিকিৎসার জন্য ২ হাজার ১৩৪ জন শ্রমিক এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য ২৫৯ জন আবেদন করেন। সভায় প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের ১৩৮ জন শ্রমিকের মৃত্যুজনিত কারণে ৬২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ২ হাজার ১৩৪ জন শ্রমিকের চিকিৎসার জন্য ৮ কোটি ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং শ্রমিকের ২৫৯ জন সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য ৮০ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই অনুমোদিত আবেদনকারীদের সহায়তা দেওয়া হবে।

সভাপতির বক্তব্যে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির এ সময়ে এসব শ্রমজীবী পরিবারগুলো আমাদের তহবিল থেকে সহায়তা পেলে তাদের অনেক বড় উপকার হবে। শ্রম মন্ত্রণালয় শ্রমিক কল্যাণ তহবিল নিয়ে সবসময় অসহায় পাশে আছে, থাকবে সব সময়। অনুমোদিত সহায়তার অর্থ যাতে স্বল্প সময়ে শ্রমিকদের হাতে পৌঁছে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

বোর্ড সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত সচিব ড. রেজাউল হক, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক জেবুন্নেসা করিম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক গৌতম কুমারসহ ফাউন্ডেশনের বোর্ডের সদস্যরা এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদফতর-সংস্থাগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

এসএইচআর/এসএসএইচ