নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের আওতায় আসছে গোপালগঞ্জ
পল্লী এলাকার জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এজন্য ‘গোপালগঞ্জের পল্লী এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর।
পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করবেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
বিজ্ঞাপন
কমিশনের কর্মকর্তারা জানান- গোপালগঞ্জ জেলার সদর, কাশিয়ানি, মুকসুদপুর, টুঙ্গীপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলার পল্লী এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে গ্রামীণ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন খাতে কয়েকটি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। লক্ষ্যমাত্রাগুলো হচ্ছে- সবার জন্য টেকসই পদ্ধতিতে নিরাপদ পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করা, ঘনবসতিপূর্ণ গ্রামগুলোতে পর্যায়ক্রমে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা করা, উন্নত ল্যাট্রিন ব্যবহারের কাভারেজ ৬১ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশে বৃদ্ধি করা এবং গ্রামীণ এলাকায় সুয়ারেজ ফ্যাসিলিটির বিকাশ সাধন করা।
একনেক কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, সভায় অনুমোদনের পর প্রকল্পটি চলতি বছরের মার্চ থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
বিজ্ঞাপন
প্রকল্পের প্রধান প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- ৩২০৯টি ৬নং গভীর নলকূপ, সাবমার্সিবল পাম্প ও জলাধারসহ গভীর নলকূপ ২২২টি, গ্রামীণ পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই (সারফেস ওয়াটার ৫০ ঘন.মি./ঘণ্টা) ১৫টি, গ্রামীণ পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই ১৫টি, রিভার্স অসমোসিস প্ল্যান্ট ১৫টি। আরও আছে- ১১৩৯টি নলকূপসহ আর্সেনিক আয়রন রিমুভাল প্ল্যান্ট, ১৫টি এ টাইপ পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, ২০টি বি টাইপ পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, অফসেট টুইন পিট ল্যাট্রিন ৬২৪০টি এবং প্রশিক্ষণ ইত্যাদি কাজ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশিদ বলেন, বর্তমানে গোপালগঞ্জের বেশিরভাগ জায়গায় সুপেয় পানির অভাব রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ের সাধারণ মানুষ সুপেয় পানির আওতায় আসবে। এছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গোপালগঞ্জের পাঁচটি উপজেলার পল্লী এলাকায় নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কাভারেজ বাড়ানো সম্ভব হবে। এজন্য প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
এসআর/এমএইচএস