ডিজিটাল কোরবানি হাটে কোনো বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা যাবে না এবং সব সময় সতর্ক থেকে নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) হাফিজুর রহমান।

‘ডিজিটাল বাণিজ্যে কোরবানি পশু বিক্রি নীতিমালা’ বিষয়ক এক জরুরি কর্মশালায় সোমবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় তিনি এ তথ্য জানান। রাজধানীর একটি হোটেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় এ কর্মশালা।

অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, এখানে অনলাইন শপ গরু বিক্রি করবে আর ক্রেতারা গরু ক্রয় করবে। এর মাঝে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও ই-ক্যাব পুরো বিষয়টি তদারকি করবে। এজন্য অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে ই-ক্যাবকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। এখানে কোনো বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা যাবে না। সতর্ক থেকে নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে। কোরবানির মতো ধর্মীয় স্পর্শকাতর ইস্যুতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা কাম্য নয়।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, দেশে ব্যবসায়ীরা অনলাইনে ব্যবসা করবে। আমাদের উচিত হবে তাদের সহযোগিতা করা। পাশাপাশি ক্রেতা বা ভোক্তার অধিকার যেন রক্ষা পায় সে ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই নীতিমালা এমনভাবে তৈরি করা উচিত যাতে ক্রেতা ও ভোক্তা উভয়ের অধিকার রক্ষা পায়। 

তিনি চামড়ার বাজারে অস্থিরতা রোধ করার জন্য দেশব্যাপী কোরবানির চামড়ার বেচাকেনাতে নির্ভরযোগ্য ডিজিটাল পদ্ধতির কথা বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, গতবার ডিএনসিসি ডিজিটাল হাট দেশের সম্মিলিত একটি অনলাইন প্লাটফরম হিসেবে ক্রেতাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সফল হয়েছে। কোরবানির পশুর এ ধরনের অনলাইন হাট দেশ-বিদেশে প্রশংসা পেয়েছে। ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ে আমাদের ওপর আস্থা রেখেছে এবং সফল হতে সহযোগিতা করেছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। আশা করছি গতবারের চেয়ে বেশি সাড়া পাওয়া যাবে এবারের অনলাইন কোরবানি হাটে।

কর্মশালায় কোরবানি পশু ক্রয়-বিক্রয় নীতিমালা, ডেলিভারি ও ফান্ড ট্রান্সফার বিধি, ছবি তোলা ও বিবরণের নিয়ম, কোরবানিযোগ্য গরুর বৈশিষ্ট্য, অভিযোগ প্রতিকার, রিটার্ন ও রিফান্ড পলিসি, কসাইসেবা ও পেমেন্ট পদ্ধতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মশালায় যুক্ত হন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ই-ক্যাবের রিসার্চ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান সদরুদ্দীন ইমরান।

আলোচনায় অংশ নেন ই-ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান, সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান, ই-ক্যাবের জেনারেল ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম শোভন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ই-ক্যাবের ডিরেক্টর আসিফ আহনাফ। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, আইসিটি ডিভিশনসহ বিভিন্ন সরকারী দফতরের ১০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, এবারের ডিজিটাল হাট নামে অনলাইন কোরবানি হাট ব্যবস্থাপনায় থাকবে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, সার্বিক সহযোগিতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, তদারকিতে থাকবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং স্লটারিং সেবার দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন। এই প্লাটফর্মে ই-ক্যাব ও বিডিএফএ অনুমোদিত মার্চেন্ট ছাড়া কেউ কোরবানি পশু বিক্রির জন্য অনুমোদিত বলে বিবেচিত হবে না।

একে/এইচকে