করোনাভাইরাসের চলমান দ্বিতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা পায়নি রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের একমাত্র প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সংস্থাটির এক পরিচালকসহ ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতাল ও বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ নিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে দুদকের মোট ১৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আশার কথা হচ্ছে এরইমধ্যে ১২৯ জন সুস্থ হয়েছেন। যদিও সংস্থাটির এক পরিচালকসহ তিনজন মহামারিতে জীবন দিয়েছেন। 

বর্তমানে আক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- দুদক পরিচালক শিরীন পারভীন, উচ্চমান সহকারী মো. সাজ্জাদ হোসেন, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক দেলোয়ার হোসেন ও কাজী আলী নূর, কনস্টেবল মামুন রশিদ এবং অফিস সহায়ক রাহুল রানা।

এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে কাজ করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে প্রতিনিয়ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তারপরও আমাদের কর্মকাণ্ড চলমান আছে। সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কমিশনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে।

করোনা মহামারির প্রথম ঢেউয়ে দুদকের তিন মহাপরিচালকসহ ১০৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন তিন কর্মকর্তা-কর্মচারী মারা যান।

দেশে করোনার সবশেষ পরিস্থিতি

দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৭ জনে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩ হাজার ৭৮৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৯১ হাজার ৫৫৩ জন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

আরএম/জেডএস