জ্বালানি উপদেষ্টা
স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক বিদ্যুৎ প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছে
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে যে অকার্যকর ও জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিচালনা করেছিল। সেখান থেকে বের হয়ে এসে এখন একটি নতুন, স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ার দিকে যাচ্ছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘রিসেন্ট প্রকিউরমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অব রিনিউএবল এনার্জি ইন দ্য পাওয়ার সেক্টর : সিপিডি স্টাডি ফাইন্ডিংস’ শীর্ষক ডায়ালগে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ১৯৯০-৯১ সালের ধারণা অনুযায়ী তৈরি ইমপ্লিমেন্টেশন অ্যাগ্রিমেন্ট এখন আর কার্যকর নয় এবং বাস্তবে এগুলোর কোনো মূল্য প্রমাণিত হয়নি। তাই সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ট্যারিফকে প্রতিযোগিতামূলক রাখা, কারণ যৌক্তিক ট্যারিফ থাকলে ইউটিলিটি সময়মতো পেমেন্ট করতে পারে এবং প্রকল্পের জন্য সেটিই সবচেয়ে বড় গ্যারান্টি।
ফাওজুল কবির খান বলেন, প্রকল্পগুলোর অর্থায়নে ব্যাংক ও অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন ফ্যাসিলিটি এবং গ্যারান্টি প্রোগ্রামও ব্যবহার করা হবে। পর্যাপ্ত প্রতিযোগিতামূলক বিল না পাওয়া প্রকল্পগুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, সৌর বিদ্যুৎ কার্যক্রমেও নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারি ভবন, স্কুল ও হাসপাতালগুলোতে রুফটপ সোলার সিস্টেম স্থাপন এবং বিভিন্ন সেক্টরে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে একটি টেকসই, কম খরচের ও ভবিষ্যৎমুখী বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম. রেজওয়ান খান, বাংলাদেশ সাস্টেইনেবল রিনিউবেল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসআরইএ) প্রেসিডেন্ট মোস্তফা মাহমুদ, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) উপপরিচালক (কারিগরি) সুলতানা রাজিয়া, বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপা) প্রেসিডেন্ট ডেভিড হাসনাত, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন বাংলাদেশের ডেপুটি হেড অব মিশন ক্লিনটন পভক প্রমুখ।
এএসএস/এমএন