ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় বাংলাদেশ মিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল সিতওয়াত নাঈম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মনজুর-ই-এলাহী, প্রশাসন ও অর্থ পরিচালক শিহাব উদ্দিন খান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আনোয়ার পারভেজ।

লে. কর্নেল মনজুর-ই-এলাহী ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের প্রযুক্তি, নিরাপত্তা সুবিধা এবং সঠিক ব্যবহারের ওপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর মাধ্যমে ইথিওপিয়া ও পার্শ্ববর্তী তিন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে এবং তাদের মর্যাদা বাড়বে। উন্নত নিরাপত্তা ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে ই-পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৃদ্ধি পাবে, যা ভবিষ্যতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তির পথ সুগম করবে।

রাষ্ট্রদূত আরও জানান, আদ্দিস আবাবা মিশন বহির্বিশ্বে ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর ক্ষেত্রে ৬৮তম বাংলাদেশ মিশন। তিনি পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ইথিওপিয়া, সুদান, দক্ষিণ সুদান ও বুরুন্ডিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানের শেষে ই-পাসপোর্ট সেবা চালুর অংশ হিসেবে তিনি তিনজন আবেদনকারীর কাছে ডেলিভারি স্লিপ তুলে দেন।

পরে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পক্ষ থেকে লে. কর্নেল মনজুর-ই-এলাহী রাষ্ট্রদূতকে একটি ক্রেস্ট প্রদান করেন। রাষ্ট্রদূত ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম ও এনরোলমেন্ট প্রক্রিয়া ঘুরে দেখেন।

উল্লেখ্য, এখন থেকে ইথিওপিয়া, সুদান, দক্ষিণ সুদান ও বুরুন্ডিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এনআই/জেডএস