চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম/ ছবি: ঢাকা পোস্ট

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। শুক্রবার (২৫ জুন) বিকেলে চট্টগ্রামের চাক্তাই খাল, রাজাখালী খাল ও ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘জলাবদ্ধতার অনেক কারণ আছে। আমি এখানে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প পরিদর্শন করেছি। প্রকল্পের কাজের ডিজাইন ও গুনগত মান ঠিক আছে কি না তা দেখার জন্য এসেছি। আগামীকাল (শনিবার) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সভা অনুষ্ঠিত হবে। সে সভায় জলাবদ্ধতা নিরসনে যারা যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে, সেগুলোর বিস্তারিত উপস্থাপন করবেন। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য যে প্রকল্পগুলো নেওয়া হয়েছে এবং যে কাজগুলো হচ্ছে, যেসব পদ্ধতিতে হচ্ছে, সেগুলো সেভাবে করলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে কি না, সেগুলো দেখা হবে সভায়।’

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে জলাবদ্ধতা নিরসনে যেসব প্রকল্পের কাজ চলছে, সেগুলো ঠিকভাবে হচ্ছে কি না তা দেখা হবে।

মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শেষ না হলে সুফল পাওয়া যাবে না। যেসব প্রকল্পের কাজ চলছে, সেগুলোর কাজ যদি পরিকল্পিতভাবে হয়, তাহলেও সুফল পাওয়া যাবে। এছাড়া যেখানে জলাবদ্ধতা যে কারণে হয়, সে কারণগুলো নিরসন করে যদি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়, তাহলে জনগণ সুফল পাবে। জলাবদ্ধতা প্রকল্প শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, জলাবদ্ধতা কেন হচ্ছে, প্রকল্পের কোনো ত্রুটি আছে কি না অথবা প্রকল্প নির্মাণাধীন থাকার কারণে জলাবদ্ধতা হচ্ছে কি না, এগুলো পরিদর্শন করার জন্যই এখানে এসেছি।

চট্টগ্রামে সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সমন্বয়হীনতা আমার মনে হয় নেই। যদি থাকে, তাহলে সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে। সমন্বয়হীনতা আছে, এটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না। কোথায় সমন্বয়হীনতা কম-বেশি নেই। সব জায়গাতেই 
সমন্বয়হীনতা আছে। সমন্বয়হীনতা থাকলে তা দূর করতে হবে এবং তা দূর করা হবে। সমন্বয়হীনতা দূর করা কঠিন কোনো বিষয় নয়। কিন্তু কাজে যদি একটা ভুল হয়, তা সংশোধন করা কঠিন হবে।

খালের বাঁধের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্মাণকালীন সময়ে বাঁধ দেওয়া থাকলেও নির্মাণকাজ শেষ হলে বাঁধ অপসারণ হয়ে যাবে। তখন আর সমস্যা থাকবে না। বাঁধের কারণে যদি ভোগান্তি হয়ে থাকে, তাহলে এই ভোগান্তি ভবিষ্যতে ভালো কিছু হওয়ার জন্যই। আমার মনে হয় এ ব্যাপারে কিছু কষ্ট সহ্য করতে হবে।

এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালামসহ জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কেএম/এসএসএইচ