গ্রামেই শহরের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান
বর্তমান সরকার গ্রামেই শহরের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। শুক্রবার (২৫ জুন) সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্ট্যাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ কি বৈষম্যমূলক পুনরুদ্ধারের পথে?’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থ বাজেটকে সামনে রেখে আয়োজিত মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। এছাড়া অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ পারভেজ ইমদাদ প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার দেশের সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছে। বর্তমানে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ গ্রামে বাস করে। অথচ একসময় এই গ্রামকেই অবহেলা করা হতো। আমাদের সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই গ্রামের মানুষের উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে।
দেশের ঘোষিত বাজেট নিয়ে তিনি বলেন, লক্ষ্য পূরণে অটল থেকে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। এবারের ঘোষিত বাজেট কিছুটা পলিশ করা দরকার।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মুক্ত বাজার অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। বাজেটের বরাদ্দ হয়ে পড়েছে গোষ্ঠীতান্ত্রিক, যার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বাজারমূল্য ধারণাটির অধঃপতন হয়েছে, এই বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেট যেহেতু জনগণের স্বার্থে প্রণয়ন করা হয়, সেহেতু জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট প্রণয়ন করা সমীচীন। অথচ বাংলাদেশে বাজেট নিয়ে আলোচনা করা হয় পেশাজীবীদের সঙ্গে, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে। ফলে বাজেট হয় পুরনো অর্থবছরের বাজেটের ধারাবাহিকতা মাত্র। বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়া হয়ে ওঠে ‘টপ ডাউন অ্যাপ্রোচ’।
তিনি বলেন, বাজেট প্রস্তাবিত হওয়ার পরও বাজেট নিয়ে মুক্ত আলোচনার সুযোগ থাকে না। এই দুই ধাপের দুর্বলতার ফলাফল হিসেবে বাজেট বাস্তবায়নেও জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাব থেকে যায়। সব ব্যবসায়ীর জন্য এই বাজেট ব্যবসাবান্ধব নয়। এই বাজেট থেকে সাধারণ জনগণ কীভাবে উপকৃত হবে সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ।
এসআর/এসএসএইচ