করোনায় বেকার অনেকেই পোলট্রি সেক্টরে উদ্যোক্তা হয়েছেন
করোনার কারণে দেশে যারা বেকার হয়েছেন তাদের অনেকেই পোলট্রি সেক্টরে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, পোলট্রি সেক্টরে উদ্যোক্তা হয়ে তারা এখন পরিবারের পাশাপাশি দেশের চাহিদা মেটাচ্ছেন। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৬ জুন) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত, পোলট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের ইনসেপশন, অগ্রগতি ও পরিকল্পনা কর্মশালায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি।
শ ম রেজাউল বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য, তাই পোলট্রি সেক্টরকে উন্নত করার জন্য আমাদের গবেষণা আরও সম্প্রসারিত করতে হবে। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজাতির মুরগির মাংস ও ডিমের যে বিস্তার ঘটেছে একসময় কেউ তা কল্পনাও করতে পারেনি।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, এখন ডিম খাওয়া ভাত, মাছের মতো হয়ে গেছে। ফলে যে লাভটি হয়েছে, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে; মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে, আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পোলট্রি, ডেইরি ও মৎস্য খাত দিয়ে আমরা গ্রামীণ অর্থনীতি সচল রাখতে পেরেছি। আজকে দেখা যায়, গ্রামের একজন বিধবা নারী সরকারের প্রণোদনার টাকার দিকে না তাকিয়ে মুরগি পালন, ডিম বিক্রি ও ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তায় ব্যস্ত থাকেন।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, এ প্রকল্পের অনেকগুলো চমৎকার বিষয় আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আকৃষ্ট করেছে। এর মধ্যে নতুন জাত উদ্ভাবন ও আগের জাত সংরক্ষণ অন্যতম। আমরা গবেষণাগার কেন তৈরি করেছি? প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই যে গবেষণাগারের কাজ শেষ হয়ে যাবে বিষয়টা এমন নয়। প্রকল্পের ফাইন্ডিংস ও অর্জন আমরা কন্টিনিউ করবো।
সচিব বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোনো দফতর, সংস্থার মধ্যে কোনো কোঅরডিনেশন গ্যাপ থাকবে না। শাটডাউনে সেন্ট্রালি অফিস বন্ধ থাকবে, তবে মাঠপর্যায়ে কোনো অফিস বন্ধ থাকবে না। যে যেখানে থাকি অফিস করবো সেটা বাসায় বসে করি, জুমে করি, ফোনে করি। অফিস আমাদের চলবেই। কোন ব্যক্তি ভুলেও স্টেশন ছাড়ার চেষ্টা করবেন না।
উল্লেখ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধায়নে পোলট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। পোলট্রি সংক্রান্ত গবেষণা জোরদারকরণের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এসআর/এসকেডি