চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় মো. নাসিম উদ্দিন নামের এক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এক নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বোয়ালখালী থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।

অভিযুক্ত চিকিৎসক নাসিম উদ্দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি ‘বোয়ালখালী জেনারেল হাসপাতাল’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে রোগী দেখেন (প্রাইভেট প্র্যাকটিস)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বোয়ালখালী পৌরসভার পশ্চিম গোমদণ্ডী এলাকার ফুলতলে অবস্থিত ওই হাসপাতালে চিকিৎসকের ব্যক্তিগত চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগকারী মো. ইসমাইল হোসেন জানান, তার বোন ওই দিন শ্বশুরকে চিকিৎসা করানোর জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে চিকিৎসক শ্বশুরকে চেম্বার থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং ওষুধ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার বোনকে একা চেম্বারে থাকতে বলেন। 

অভিযোগে আরও বলা হয়, এরপর চিকিৎসক ওষুধ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ওই নারীকে বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক ও অশালীন প্রশ্ন করতে থাকেন। একপর্যায়ে যৌন উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। পরিস্থিতি বুঝে ওই নারী তাৎক্ষণিকভাবে চেম্বার থেকে বের হয়ে আসেন।

অভিযোগকারী আরও জানান, সামাজিক সম্মান ও পারিবারিক মর্যাদার কথা বিবেচনা করে তার বোন প্রথমে ঘটনাটি কাউকে জানাননি। তবে গত ২২ ডিসেম্বর একই চিকিৎসকের কাছে পুনরায় শ্বশুরকে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার প্রসঙ্গে উঠলে ওই নারী পরিবারের কাছে পুরো ঘটনাটি প্রকাশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ ডিসেম্বর রাতে বোয়ালখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ভুক্তভোগীর ভাই মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগে আমার বক্তব্য উল্লেখ রয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে আমরা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। থানা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. মো. নাসিম উদ্দিন উদ্দিনের বক্তব্য জানতে দুদিন ধরে একাধিকবার মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমআর/বিআরইউ