নিষিদ্ধ মাদক এলএসডি ও ডিএমটি নামক মাদকসহ চার মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শনিবার (২৬ জুন) রাতে রাজধানীর তেজগাঁও থেকে তাদের গ্রেফতার করে র‍্যাব-২ এর একটি দল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাবের লিগাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান জানান, রোববার দুপুর ২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যুর পর লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড (এলএসডি) নামে নতুন ধরনের এক মাদকের সঙ্গে পরিচিত হয় দেশ। ধারণা করা হয়, এলএসডি সেবনের কারণে স্বাভাবিক চিন্তা চেতনা হারিয়ে আত্মহত্যা করে হাফিজুর।

বর্তমানে দেশে এলএসডি’র রমরমা ব্যবসা চলছে বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। গত ২৯ মে পর্যন্ত এলএসডি বিক্রি ও সেবনের দায়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে ডিএমপি।

এই ঘাতক মাদকের অধিকাংশ বিক্রেতা ও ক্রেতা দেশের নামিদামি বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ পর্যন্ত এলএসডি সেবন ও বিক্রির দায়ে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের সবাই নামিদামি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা যায়, দেশে প্রচলিত যেসব মাদক আছে এর মধ্যে এলএসডির দাম সবচেয়ে বেশি। এলএসডি মিশ্রিত তিন পিস রঙিন প্রিন্টের ব্লট পেপার (আনুমানিক ওজন শূন্য দশমিক শূন্য এক গ্রাম) ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। ফলে ইয়াবা, গাঁজা কিংবা হেরোইন থেকে কয়েক গুণ বেশি ক্ষতিকারক এই মাদক এখনও সব শ্রেণির মাদক সেবীদের হাতের নাগালের বাইরে। আর তাই বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র করে দেশে গড়ে উঠেছে এলএসডির বাজার। দেশে এলএসডির ব্যবসার এবং সেবনের সঙ্গে জড়িত এমন ১৫টি গ্রুপের হদিস পেয়েছে পুলিশ। এসব গ্রুপের অধিকাংশ সদস্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

জেইউ/এসএসএইচ