আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী

দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরামসহ গ্রেফতারকৃত হেফাজতের সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এ সময় তিনি কওমি মাদরাসা খুলে দেওয়ার দাবিও জানান।

রোববার (২৭ জুন) হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস নদভী স্বাক্ষরিত সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে হেফাজতের আমির এ দাবি জানান।

হেফাজতের আমীর বলেন, বিনা দোষে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ওলামায়ে কেরাম জেলখানায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গ্রেফতারকৃত ওলামায়ে কেরামের মধ্যে অনেকেই বয়োবৃদ্ধ ও শারীরিকভাবে অসুস্থ। জেলেখানার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীবসহ অনেক ওলামায়ে কেরাম অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর পেয়েছি। মানবিক বিবেচনায় গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন।

আল্লামা বাবুনগরী বলেন, ‌‌আমি নিজেও অসুস্থ। হেফাজতের ২০১৩ সালের নাস্তিক মুরতাদ বিরোধী আন্দোলনে গ্রেফতার হয়ে রিমান্ডের পর থেকেই আমি অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগসহ উচ্চতর ডায়াবেটিস, প্রেশার ইত্যাদি রোগে ভুগছি। তিন বেলায় দৈনিক আমার অর্ধশত ট্যাবলেট খেতে হয় ও ইনসুলিন নিতে হয়। খাদেমদের সহযোগিতা ছাড়া একাকী চলাফেরা করতে পারি না। আমার ব্যক্তিগত খাদেম (সেবক) মাওলানা এনামুল হাসান ফারুকীকেও সম্পূর্ণ বিনা দোষে গ্রেফতার করা হয়েছে। শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের সাথে আমার সেবক এনামুল হাসানেরও মুক্তি চাচ্ছি।

তিনি বলেন, নবী-রাসূলগণের উত্তরসূরি ওলামায়ে কেরামকে বিনা অপরাধে জেলখানায় আটকে রাখা অত্যন্ত দুঃখজনক। নায়েবে রাসুল শীর্ষ ওলামায়ে কেরামকে এভাবে জেলখানায় আবদ্ধ রেখে কষ্ট দিলে তাদের বদ দুআয় আল্লাহর গজব আসতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ওলামায়ে কেরামের সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষের আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। সমাজের সবার নিকট শ্রদ্ধার পাত্র ওলামায়ে কেরাম। আজ দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা মামলায় ওলামায়ে কেরাম জেলে আটক থাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ক্ষোভের বিস্ফোরণ হলে এর দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে।

বিবৃতিতে হেফাজতর আমির কওমি মাদরাসাও খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, কওমি মাদরাসায় দিন-রাত কুরআন তিলাওয়াত করা হয়। কওমি মাদরাসায় রাসুলের হাদিসের পাঠদান করা হয়। খতমে বুখারি, খতমে জালালিসহ বিভিন্ন দুয়-দরুদ ও জিকির-আযকার করা হয়। মাদরাসাগুলো চালু থাকলে কুরআন-হাদিসের বরকতে করোনাসহ যাবতীয় বালা মুসিবত দূর হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

কেএম/ওএফ